কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শেখ হাসিনা-কামালের মামলায় রাজসাক্ষী মামুনের জেরা চলছে

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের জেরা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তার জেরা শুরু হয়।

চৌধুরী মামুনকে জেরা করছেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি শেষে তাকে আংশিক জেরা করেন তিনি। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর স্টেট ডিফেন্সের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাকি জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর জবানবন্দিতে রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশেই জুলাই-আগস্ট গণহত্যা হয়েছে।

জবানবন্দিতে তিনি বলেন, গত বছরের (২০২৪) ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ফোনকলের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র (লেথাল উইপেন) ব্যবহার শুরু করে।

সাবেক আইজিপি জানান, সে সময় তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ছিলেন এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন। নির্দেশনার বিষয়টি জানানোর পর প্রলয় কুমার ডিএমপি কমিশনারসহ সারা দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দেন। এরপর থেকেই আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়।

জবানবন্দিতে মামুন আরও বলেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ফজলে নূর তাপস, সালমান এফ রহমান, ওবায়দুল কাদের, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মির্জা আযম, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননসহ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।

এদিন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ট্রাইব্যুনাল-১-এর সাক্ষীর ডায়াসে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে গণহত্যার শিকার প্রত্যেক পরিবার, আহত ব্যক্তিবর্গ, দেশবাসী ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চান তিনি সাবেক এই আইজিপি।

গত ১০ জুলাই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে নিজের দায় স্বীকার করে এই মামলায় স্বপ্রণোদিতভাবে রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং একই সঙ্গে সব দায় স্বীকার করেন। এ মামলায় গত ৩ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত তিনিসহ ৩৬ সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। সাক্ষীদের বক্তব্যে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বীভৎস চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অচেনা ধনকুবেরের কোটি টাকার উত্তরাধিকারী নেইমার!

সাতক্ষীরায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক জরিমানা শুরু

নির্বাচন হতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই : দুদু

জবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড সরানোর দাবিতে মানববন্ধন 

নির্বাচনের সাড়ে ৩ বছর পর শপথ নিলেন ইউপি সদস্য

নদীর পানির দাবিতে চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষিদের মানববন্ধন

শুধু রাজনীতিতে নয়, অর্থনীতিতেও গণতন্ত্র আনতে হবে : আমীর খসরু 

নিজের উত্তরসূরিকে প্রকাশ্যে আনলেন কিম?

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি ভাঙার হুঁশিয়ারি দিল এক মুসলিম দেশ

দুর্নীতি মামলা / বেরোবির সাবেক উপাচার্য কলিমুল্লাহর জামিন নামঞ্জুর 

১০

দায়িত্ব পাওয়া নিঃসন্দেহে বিরাট সম্মানের : মেহজাবীন

১১

নির্বাচন ঠেকানো সম্ভব নয় : ফারুক

১২

কম পানি খেলে কি সত্যিই কিডনিতে পাথর হয়? যা বলছে গবেষণা

১৩

হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন দুদকের

১৪

চিলির বিপক্ষে মারাকানায় যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে ব্রাজিল

১৫

দেশে আসছে ‘দ্য কনজ্যুরিং: লাস্ট রাইটস’

১৬

প্লট দুর্নীতি / শেখ রেহানা-টিউলিপ-আজমিনার মামলায় তৃতীয় দিনে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ 

১৭

বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৮

তিতাস কমিউটার ট্রেন লাইনচ্যুত

১৯

দুর্নীতি দমনেই গণতন্ত্র পুনর্গঠন সম্ভব : টিআই চেয়ারপারসন

২০
X