কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩১ এএম
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত
হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিলের রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর এবং ২২, ২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আপিল বিভাগে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় সমাজে এমনভাবে কুঠারাঘাত করেছে যা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করেছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সমাজব্যবস্থাকে। মৃত ব্যক্তি এসে রাতের ভোট দেবার মতো অবাস্তব ঘটনা দেখেছে জাতি।

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

এ ছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই আবেদন দাখিল করেন। পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘মেসি নয়, ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা রোনালদোর বেশি’

টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

বলাকা কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন

ছাত্রদলের ১৯ নেতাকর্মী বহিষ্কার

মস্তিষ্ক ছাড়াই চলল ২০ বছর, ‘অলৌকিক’ ঘটনা বলছেন চিকিৎসকরা

মুন্সীগঞ্জে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান

আইবিএস সিস্টেমে সরকারি চাকরিজীবীদের আয়কর কর্তনের নির্দেশ

স্টার্লিংয়ের ফিফটিতে প্রথম সেশন আয়ারল্যান্ডের

যুবলীগ নেতা বিল্লাল আটক

বিপিএল: একাদশে তিন না চার বিদেশি, সিদ্ধান্ত জানাল বিসিবি

১০

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের রায় ২০ নভেম্বর

১১

তিন হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে জবি শিবিরের ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচি

১২

লাস্যময়ী রূপে দর্শনা

১৩

গুগল ম্যাপসে এবার এলো আপনার যাত্রার নতুন বন্ধু

১৪

নদীর তীরে ঝুপড়ি ঘরে মিলল স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ

১৫

দিল্লি বিস্ফোরণের সন্দেহভাজন হামলাকারীর ছবি প্রকাশ

১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দশম দিনের শুনানি চলছে

১৭

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার বাসচালক

১৮

বিএনপিতে যোগ দিলেন ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী

১৯

অফিসে যে ৬ আচরণ আপনার এড়িয়ে চলা উচিত

২০
X