দক্ষিণ আমেরিকার দেশ হিসেবে বাংলাদেশে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পেয়ে থাকেন। যারা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত, তারা অন অ্যারাইভাল ভিসার অপব্যবহার করছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাদক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এসব বলেছেন।
তিনি বলেন, উদ্বেগের বিষয়ে হচ্ছে, গার্মেন্টস সেক্টরের বায়িং হাউসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিসা ইস্যুর নাম করে মাদক পাচারে সহযোগিতা করছে। ওই আদালত তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় পেরুর নাগরিক জাগাসেতা আলভারাডো জুয়ানা পাবলো রাফাইলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানি নাগরিক মোস্তফা আশরাফের দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শামসুল হক, হালিমা খানন সাদিয়া, আশরাফ নাসিম ও সাবরিনা নাসরিন তানিয়া।
রায় ঘোষণার আগে পেরুর নাগরিক রাফাইলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়। মামলার আসামি তানিয়া জামিনে থেকে হাজিরা প্রদান করেন। পাকিস্তানি নাগরিকসহ চার আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেল লাভিঞ্চি হোটেলের সপ্তম তলায় উপস্থিত হন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ওই হোটেলের ৭০৭ নম্বর রুমের ভেতরে প্রবেশ করে আসামিদের তল্লাশি করেন।
এ সময় পেরুর নাগরিক জাগাসেতা আলভারাডো জুয়ানার দখলে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষ্য দেন।
মন্তব্য করুন