সালমার সঙ্গে শহিদুলের সাত থেকে আট বছরের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। শহিদুলের বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে জানতে পেরে সালমা নিজেকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। কৌশলে তাকে ঢাকায় এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার এক দিন আগে সালমা শহিদুলের গ্রামের বাড়ি বরিশালে যায়। সালমা জানতে পারে, শহিদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকে। এ তথ্য জানার পর শহিদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সালমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারপর শহিদুল সালমাকে কৌশলে ঢাকায় আসতে বলে। ঢাকায় আসার পর শহিদুল সালমার সঙ্গে ঘটনার দিন বিকেল ৫টার সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দেখা করে। ওই দিন শহিদুল রাত ১০টার পর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সালমাকে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শহিদুল জঙ্গলে নিয়ে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সালমার সঙ্গে থাকা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। সালমার মরদেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, এ জন্য ইটের টুকরো দিয়ে মুখ থেঁতলে চেহারা বিকৃত করে দেয়। এরপর শহিদুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করে। এ মামলার পর অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন