কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০২:৪২ পিএম
আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ে করতে চাপ দেওয়ায় ধর্ষণের পর হত্যা, প্রেমিক গ্রেপ্তার

ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রেমিক গ্রেপ্তার। ছবি : কালবেলা
ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রেমিক গ্রেপ্তার। ছবি : কালবেলা

সালমার সঙ্গে শহিদুলের সাত থেকে আট বছরের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। শহিদুলের বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে জানতে পেরে সালমা নিজেকে বিয়ে করতে চাপ দেয়। কৌশলে তাকে ঢাকায় এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি শহিদুলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার এক দিন আগে সালমা শহিদুলের গ্রামের বাড়ি বরিশালে যায়। সালমা জানতে পারে, শহিদুল বিবাহিত এবং তার স্ত্রী বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকে। এ তথ্য জানার পর শহিদুলকে ফোন করে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সালমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তারপর শহিদুল সালমাকে কৌশলে ঢাকায় আসতে বলে। ঢাকায় আসার পর শহিদুল সালমার সঙ্গে ঘটনার দিন বিকেল ৫টার সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দেখা করে। ওই দিন শহিদুল রাত ১০টার পর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সালমাকে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, শহিদুল জঙ্গলে নিয়ে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সালমার সঙ্গে থাকা ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। সালমার মরদেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, এ জন্য ইটের টুকরো দিয়ে মুখ থেঁতলে চেহারা বিকৃত করে দেয়। এরপর শহিদুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হত্যা মামলা করে। এ মামলার পর অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্প নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

বাংলাদেশ শ্রমবাজার জরিপ-২০২৫–এ ‘দক্ষতা ও চাহিদা’ অংশ সম্পন্ন করলো বিএমই

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তিতে শুরু হচ্ছে ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স

মায়ের সুতোয় ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন

দল থেকে সুখবর পেলেন বিএনপির ২০ নেতা

একদিনই ইসরায়েলি বাহিনী ‘২৭ বার যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে’

এনআইডি কার্যক্রম সংশোধনে ইসির নতুন সিদ্ধান্ত

নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ : নৌবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিন এখনো চালু না হওয়ার কারণ

তাজরীনের আগুনে ঝলসে যাওয়া স্মৃতি, ১৩ বছর পরও শ্রমিকদের আর্তনাদ

১০

নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে ব্যয় বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

১১

কক্সবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

১২

এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

১৩

মাছের ঘের থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার

১৪

শুটিং সেটে গুরুতর আহত, প্রযোজকের কথা ভাবলেন শ্রদ্ধা

১৫

আঁধারে শেষ ২০ বিঘা সবজি ক্ষেত

১৬

বানিয়ে নিন মচমচে ফুলকপির পকোড়া

১৭

মুক্ত আকাশে ফাঁদে আটকা ৯০টি শালিক পাখি

১৮

রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যা : অভিযোগ গঠনে শুনানির তারিখ নির্ধারণ

১৯

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল রিয়াল মাদ্রিদ

২০
X