বিদেশি কিশোরীদের প্রলুব্ধ করতেন তিনি। এরপর সংগ্রহ করতেন নগ্ন ছবি। এটিই ছিল তার শখ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম সামির। তাকে গত রোববার (২১ আগস্ট) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরপর তাকে দুই দিনের রিামন্ডে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সামিরের ল্যপটপে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অন্তত ৩০ কিশোরীর ১৬৪টি পর্নো ছবি পাওয়া গেছে। এসব ছবি সংগ্রহে রাখা তার শখ ছিল। এগুলো তিনি বেচাকেনা করতেন না। রিমান্ড শেষে শনিবার ( ২৬ আগস্ট) সামিরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের করা একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত করে গত সোমবার (২১ আগস্ট) সামিরকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আদালতের অনুমতিতে তাকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলাটির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, গত ২৬ জুলাই গুলশান থানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকার দূতাবাসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাইকেল লি জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ সামিরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর পরিচয় হয়। এরপর তাকে প্রলুব্ধ করে ওই অ্যাপ ও ই-মেইলে আপত্তিজনক ছবি সংগ্রহ করেন সামির।
জিডির তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সামির ২০২১ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও করোনার কারণে আর ক্লাস করেননি।
তিনি বলেন, সামির সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মা-বাবা তাকে বাইরে কোথাও যেতে দিতেন না। একাকিত্বের কারণে তার মোবাইল ফোনে আসক্তি তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন