সারা দেশের কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (৬ আগস্ট) এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
এতে দেখা যায়, এবারও ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কলেজ পাবে আবেদনকারীরা। আবেদন শুরু হবে ১০ আগস্ট, চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে ৫ অক্টোবর। একাদশে ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি চলবে। শুধু পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেওয়া হবে ৩১ আগস্ট। পছন্দক্রমও পরিবর্তন করা যাবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর। এই পর্যায়ে নির্বাচিতদের নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে হবে ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন নেওয়া হবে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। একই দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে। এই পর্যায়ে নির্বাচিতদের নির্বাচন নিশ্চায়নের সময় ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর।
তৃতীয় পর্যায়ে আবেদন নেওয়া হবে ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ২৩ সেপ্টেম্বর। একই দিনে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। এই পর্যায়ে নির্বাচিতদের নির্বাচন নিশ্চায়নের সময় ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর। ভর্তির সময়সীমা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর। ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।
ভর্তিচ্ছুরা কাঙ্ক্ষিত কলেজ পেতে এবারও নির্ভর করবেন লটারি প্রক্রিয়ার ওপর। পছন্দের তালিকা সীমাবদ্ধ থাকবে ৫ থেকে ১০টিতে।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয়ক তপন কুমার সরকার জানান, একজন শিক্ষার্থী অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ দিতে পারবেন। তিনটি ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চূড়ান্ত ফল পাওয়া যাবে।
২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই ভর্তি কার্যক্রমে আবেদন ফি ও সেশন চার্জ আগের মতো থাকলেও বাড়ছে রেজিস্ট্রেশন ফি। রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ টাকা বাড়িয়ে ৩২৮ টাকা থেকে ৩৩৫ টাকা করা হয়েছে। এর সাথে বিগত বছরগুলোর মতো রেড ক্রিসেন্ট ফি ২৪ টাকা ও বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি ফি, সেশন ফি সব গত বছরের মতোই আছে।
এবারও ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে। বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে ২ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে পোষ্য কোটা আর বাকি ৫ শতাংশ কোটা পাবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য। এবারও লটারি পদ্ধতির বাইরে থাকছে ৪টি মিশনারিজ কলেজ। যাতে ভর্তি হতে দিতে হবে পরীক্ষা। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পাঠদান।
এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সবমিলিয়ে অংশগ্রহণকারী ছিলেন ২০ লাখের বেশি। যাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। এখন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন : ববি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
মন্তব্য করুন