কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রাথমিকে বড় নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার 

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১৭ হাজার ৭০৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ হাজার ৩২৭টি সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ২ হাজার ৩৮২টি প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ কার্যক্রমও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯’ সংশোধনের খসড়া পিএসসিতে পাঠানো হলে তাদের সুপারিশ পাওয়া গেছে। বর্তমানে খসড়াটি লেজিসলেটিভ বিভাগে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ১০ হাজার ১৬১টি। পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ৫ হাজার ১৬৬টি পদ খালি রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ১৪ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের আগামী ৬ মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিনি শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। সভায় প্রধান শিক্ষকের পদেও বড় সংকটের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

জানা যায়, বর্তমানে দেশে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার ১০৬টি পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী এসব পদে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি ও ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের বিধান থাকলেও প্রস্তাবিত সংশোধনীতে অনুপাত পরিবর্তন করে ৮০:২০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এদিকে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ২ হাজার ৩৮২টি পদ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিধিমালা সংশোধনের খসড়া বর্তমানে লেজিসলেটিভ বিভাগে রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সম্পন্ন হলে আগামী এক মাসের মধ্যেই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কাছে রয়েছে। তারা দ্রুত এ প্রক্রিয়া শেষ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় পিএসসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।

তিনি আরও বলেন, বিসিএস (নন-ক্যাডার) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগে সময় বেশি লাগে। তাই পিএসসি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। একই সঙ্গে পদোন্নতির মাধ্যমে যেসব শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব, সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দাড়ি রাখা, অগোছালো পোশাক আর মেনে নেওয়া হবে না : মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

গাজামুখী নৌবহর থেকে সরে দাঁড়াল ইতালি

অবশেষে নেপালের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়

বিশ্বকাপে ভারতের শুভসূচনা

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ

এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

পূজায় কোনো নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হাসপাতালের বিছানায় সাবেক মন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি নিয়ে যা বলছে কারা কর্তৃপক্ষ

বিএনপির পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নর্থ আমেরিকা পররাষ্ট্র কমিটির বৈঠক

১০

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সকলে মিলে দেশ গড়বো : ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ

১১

বকেয়া বিল আদায়ের ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

১২

ঐক্যবদ্ধভাবে অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : সেলিমুজ্জামান 

১৩

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’

১৪

চবির ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম অভিযোগ গেল দুদকে

১৫

একজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল

১৬

চারদিন পর খাগড়াছড়িতে অবরোধ স্থগিত

১৭

চলতি অর্থবছর কেমন হবে, জানাল এডিবি

১৮

বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবাই মিলে দেশ গড়ব : ড. ফরিদুজ্জামান

১৯

সিপিআর বাঁচাতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লাখো প্রাণ

২০
X