জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জবিতে আবরারের স্মরণসভা

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের 

জবিতে আবরার ফাহাদ স্মরণসভা পালিত। ছবি : কালবেলা
জবিতে আবরার ফাহাদ স্মরণসভা পালিত। ছবি : কালবেলা

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহী আক্ষা দিয়ে তাদের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানায়।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণসভায় শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদের দেশপ্রেমের বর্ণনা ও ছাত্রলীগের আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরেন।

আবরার ফাহাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাকস্বাধীনতাকামী শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই হক আদায়ের জন্য হলেও ছাত্রলীগের বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগের অমানুষিক নির্যাতনে আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে। এই খুনিদের বিচার করতে হবে। তাদেরকে ছাত্রসমাজ বয়কট করেছে।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকারের বর্ণনা দিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম আলী বলেন, ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ত্রাশের রাজনীতি করেছে। শিক্ষার্থীদের মুখ চেপে ধরেছে। বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে শিবির ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়াই জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। এসব অবৈধ ফ্যাসিস্টদের জবাব দিতে হবে।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, আবরার ফাহাদ ভাই আমাদের গর্ব। দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় আবরার ফাহাদ প্রথম শহীদ। দেশের ভালোর জন্য কথা বলায় ছাত্রলীগের গুন্ডারা আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। কতটা অমানবিক হলে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে তা ভাবতেও ভয় লাগে। বাংলাদেশে এই ছাত্রলীগ নামের গুণ্ডালীগকে কোনো প্রকার রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না। প্রতিটা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার হামিম বলেন, একটা সময় ছিল শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্কজনক। ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীরা সব সময় মারধরের শিকার হয়েছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি জগন্নাথে কাজ করত শিক্ষকলীগ। আমার ফেসবুক অ্যাকটিভিটির কারণে ছাত্রলীগ সব সময় লেগে থাকত। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও জড়িত ছিল। আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করেছে ডিবির মাধ্যমে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের সব সময় হয়রানি করেছে। নূর নবীকে ক্যাম্পাস থেকে প্রশাসন ডিবির হাতে তুলে দেয়। এর বিচার করতে হবে।

১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌসিফ মাহমুদ সোহানের তত্ত্বাবধানে স্মরণসভার সঞ্চালনা করেন রাকিব হাসান। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ইমন, ছাত্রদলের সহসাংগাঠনিক সম্পাদক মাহিদ খান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান বিন অনিক, সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও ইভান তাহসিব প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহজালালে আগুন / ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

ডোবায় কচুরিপানার নিচে লুকানো ছিল মানুষের কঙ্কাল

এবার বিমানবন্দরের সামনে মোটরসাইকেলে আগুন

প্রেমিকের নানার বাড়িতে মিলল প্রেমিকার মরদেহ

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন, প্রস্তুত চার হাসপাতাল

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘লিট-কার্নিভাল ২০২৫’ অনুষ্ঠিত

যত দ্রুত পারি এয়ারপোর্ট চালু করব

কমিউনিটি ব্যাংক ও সিয়ান গ্লোবালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অংশীদারত্ব চুক্তি

রিশাদের ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ভারতে ‘পারমাণবিক হামলার’ হুমকি

১০

উত্তরায় ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন, প্রবেশে কড়াকড়ি

১১

বিইউএফটিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১২

‘সকালেই নেমেছিল পঞ্চাশ কোটি টাকার মাল, সব পুড়ে ছাই’

১৩

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে : তারেক রহমান

১৪

বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহীতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৫

ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়লেন রিশাদ

১৬

চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের হুঁশিয়ারি

১৭

অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তারেক রহমানের পোস্ট

১৮

রাজনীতিবিদদের দেশ বিনির্মাণে প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

১৯

রিশাদের ঘূর্ণিতে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে উইন্ডিজ

২০
X