জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জবির অনশনের ঘটনাটি সাজানো, দাবি ছাত্রদল নেতার

ছাত্রদল নেতা রিয়াসসাল রাকিব ও ফেসবুক স্ট্যাটাস। ছবি : কালবেলা
ছাত্রদল নেতা রিয়াসসাল রাকিব ও ফেসবুক স্ট্যাটাস। ছবি : কালবেলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দাবিতে অনশন করা শিক্ষার্থীদের সাজানো ছিল বলে আখ্যায়িত করেছেন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য রিয়াসাল রাকিব।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সাজানো নাটক ও জকসু ইলেকশনের জন্য ফোকাস করা বলে দাবি করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, সাংঘাতিক, তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী, চোর, বাটপার, দালালদেরকে সঙ্গে নিয়ে নাটক সাজাইয়া স্টুডেন্টদের মাঠে নামাইয়া আন্দোলন ভালোই হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল জকসু ইলেকশনের জন্য নিজেদের ফেস ফোকাস করা। আমরা ধৈর্যসহকারে সব কিছু অবজার্ভ করেছি। আমরা কোনো ক্রেডিট নেওয়ার জন্য আন্দোলনে আসিনি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে মাইনাস করেই সবকিছু করা হয়েছে। তবুও আমরা পাশে ছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে ধোঁয়া দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে আগামীতে এই ধরনের মুনাফিকমার্কা আন্দোলনের স্বপ্ন দেইখেন না। আর ভুলেও নেতৃত্ব দেওয়ার চিন্তা কইরেন না। মুনাফিকদের সহযোগিতা করা, পা চাটা গুটি কয়েক মুনাফিক শিক্ষকদের জন্য ও একই বার্তা।’

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রিয়াসাল রাকিব বলেন, এই আন্দোলনে শুরু থেকে ছাত্রদল পাশে ছিল। কিন্তু শেষে যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারাও একটি ছাত্র সংগঠনের। তারা কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। রাকিবকে আমি চিনি, সে একটা সংগঠনের সভাপতি। আর শিবিরের ছিল দুজন প্রতিনিধি। কিন্তু একটা আন্দোলনে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেখানে ছাত্রদলের কাউকে ডাকা হয়নি। এরা দুজন সিন্ডিকেট করে বলে দিল, দুদিন ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করলেই, হয়ে গেল? পেছন থেকে কারা এসব কলকাঠি নাড়ছেন, এসব আমরা তো বুঝি। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করতেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে পরদিনই কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্ত করেন এই নেতা।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেনি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার বিকাল পাঁচটায় সচিবালয়ের অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় দাবি মেনে নেওয়ার মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১

আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ

ঝিনাই নদীতে নিখোঁজ বৈশাখীর মরদেহ উদ্ধার

০২ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

টিভিতে আজকের যত খেলা

এলপিজির দাম বাড়বে কি না, জানা যাবে আজ

৭ অভ্যাসে মাত্র ৫০ দিনেই বদলে যেতে পারে আপনার জীবন

আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

পারভেজ মল্লিকের ওপর হামলার ঘটনায় লন্ডনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ 

টঙ্গীতে পঞ্চাশ দশকের সংবাদপত্র এজেন্ট আনোয়ার হোসেনের ইন্তেকাল

১০

ফের সাভারে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

১১

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ আজ

১২

নির্বাচনের পর তানজানিয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে

১৩

ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে সুলতান’স ডাইন

১৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১৫

তাইওয়ানে ক্ষমতায় ‘চীনপন্থি’ বিরোধী নেত্রী চেং লি-উন

১৬

প্রকৃতি রাঙিয়ে ফোটা চোখজুড়ানো ফুল পটপটি

১৭

মেঘনা গ্রুপে রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার পদে চাকরি, দ্রুত আবেদন করুন

১৮

২ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৯

নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে : মামুনুল হক

২০
X