বাগেরহাটের ৯ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি।
এ সময় বিভিন্ন সড়ক অবরোধ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাগেরহাট সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
এর আগে শনিবার (২৩ আগস্ট) রাতে হরতাল ও সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি ফকিরহাট বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্বরোড মোড় এলকার এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হরতাল সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ফকিরহাট উপজেলা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল নেতাকর্মী অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুল কামাল কারিম, সাংগঠনিক সম্পাদক খান লিয়াকত আলী, ফকিরহাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এবিএম তৈয়াবুর রহমান, সেক্রেটারি আবুল আলা মাসুম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা রোববার সর্বদলীয় হরতালের ডাক দিয়েছি, যা বাগেরহাটবাসীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। ১৯৭০ সাল থেকে বাগেরহাটে ৪টি আসন থাকলেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন তা কমিয়ে ৩টি করার প্রস্তাব করেছে। নতুন প্রস্তাবে রামপালকে বাগেরহাট-২ আসনে এবং মোংলাকে বাগেরহাট-৪ আসনে যুক্ত করে মোট আসনসংখ্যা তিনটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বাগেরহাটকে ‘এ’ গ্রেড থেকে ‘বি’ গ্রেডে নামিয়ে আনা হয়। এটা স্পষ্ট ষড়যন্ত্র। আমরা এসব মানি না। নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তাব থেকে ফিরে না আসে তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বাগেরহাটবাসী।
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসন ছিল। ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই বাগেরহাট জেলাবাসী ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি, ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বাগেরহাট-খুলনা-মোংলা-ঢাকা রাস্তা অবরোধ করেছেন বাগেরহাটবাসী। আসন কমানো অথবা বহাল রাখার বিষয়ে ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্তব্য করুন