শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতি

জাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ছবি : সংগৃহীত
জাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের ‘কয়েকজন সদস্যের’ ছত্রছায়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার ও নির্বাচনী অনিয়মের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসত্য তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সদস্য ও অনলাইন এক্টিভিস্টরা সেটি ফলাও করে প্রচার (ভাইরাল) করে। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে এই যে, ঐসময় রিটার্নিং অফিসারগণের তত্ত্বাবধানে শুধু ব্যালটবাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়। ব্যালট পেপার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনের দিন অর্থাৎ পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। এ ধরনের ঘৃণ্য মিথ্যাচারের মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই ছাত্রদলকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ওই ‘বিশেষ রাজনৈতিক মতাবলম্বী সদস্যদের’ ও তাদের দোসর প্রভোস্টদের অপতৎপরতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। জাল ভোট দেওয়া ও প্রার্থী প্রতিনিধি/সাংবাদিকদের হয়রানি (মব) করার অভিযোগ ওঠে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (১৫নং হল), জাহানারা ইমাম হল, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে।

এতে বলা হয়েছে, ১৫নং হলের প্রভোস্ট সরাসরি একটি প্যানেলের পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ও পর্যবেক্ষক দল ঐ হলে ব্যালট পড়ে থাকাসহ নানা অনিয়ম প্রত্যক্ষ করেছে। এছাড়াও বিস্ময়করভাবে হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালটে ক্রমিক নম্বর থাকলেও জাকসুর ব্যালটে এগুলো ছিল না। অথচ ‘ক্রমিক নম্বর’ হলো ভোটের বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ব্যালট পেপারে থাকা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা, যা গণনার জন্য ব্যবহার করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমনকি পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকাও ছবি-সংযুক্ত আকারে সরবরাহ করা হয়নি, যা ভোটার শনাক্তকরণে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় বহু শিক্ষার্থী নিজ হলে ভোট দিতে পারেননি। দ্বৈত ভোটদানের মতো নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধের জন্য নির্বাচনী অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হয়নি অনেক ক্ষেত্রেই। আমরা মনে করি নির্বাচনের আগের রাতে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো ও নির্বাচনের দিন বিভিন্ন অনিয়ম একই সূত্রে গাঁথা।

বিবৃতিতে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য আয়োজিত এই প্রহসনের নির্বাচনের তীব্র নিন্দা ও অভিযোগগুলো সুষ্ঠু সুরাহার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পক্ষে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান, অধ্যাপক ড. মাহবুব কবির, অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, অধ্যাপক ড. নাজমুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. খন্দকার মোহাম্মাদ শরিফুল হুদা, অধ্যাপক ড. মোহা. তালিম হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মনজুর ইলাহী, অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোহামাদ মামুন হোসেন, অধ্যাপক ড. এ. এন. এম. ফখরুদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যাপক ড. শামীমা সুলতানা, অধ্যাপক ড. আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. গাজী মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক ড. নাহিদ আখতার, অধ্যাপক ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম, অধ্যাপক ড. নাসরীন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. কে এম জাহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. মোহামম্মদ এমাদুল হুদা, অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তাসমিনা রহমান, অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, অধ্যাপক ড. আবদুর রাশিদ, অধ্যাপক ড. জেসমিন আকতার, অধ্যাপক ড. মো. সালেকুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. আব্দুর রহমান, অধ্যাপক চৌধুরী গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ড. তাসলিমা নাহার, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রায়হান শরীফ, ড. সোমা মুমতাজ, মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন ভূইয়া, তমালিকা সুলতানা, কামরুন নেছা খন্দকার, মো. নূরুল হক, মোহাম্মদ রেজাউল রকিব, এস. এম. মাহমুদুল হাসান এবং মো. আল-আমিন খান এ বিবৃতি দিয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাঁদাবাজি-মাদকের অভিযোগে বহিষ্কৃত স্বেচ্ছাসেবক নেতার জামায়াতে যোগদান

সেই সাংবাদিকের পরিবারের পাশে সাদিক-ফরহাদ, ২ লাখ টাকা অনুদান

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের

চলনবিলে নৌকাবাইচ দেখতে হাজারো মানুষের ঢল

ওসির ভোজসভায় অংশ নিলেন যুবলীগ নেতা

রাকসুর শীর্ষ তিন পদেই লড়বেন ৭ নারী প্রার্থী

ইসলামকে সুদৃঢ় করতে নফসের সঙ্গে জিহাদ করতে হবে : সাবির শাহ্

ফরিদপুরে সড়ক ও রেল বন্ধ করার ঘোষণা

জুলাই মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগে ৩ সমন্বয়ক কারাগারে 

শজিমেকে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১০

আর্জেন্টিনাকে দুঃসংবাদ দিল রিয়াল

১১

হারিসের ঝড়ো ফিফটিতে পাকিস্তানের লড়াকু সংগ্রহ

১২

জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতি

১৩

দেশের ৬৪ জেলায় হবে ‘মডেল মন্দির’ 

১৪

৮ দফা বাস্তবায়নে অনশনে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন

১৫

ববিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, পুলিশ মোতায়েন

১৬

সরকারি চিকিৎসকদের জন্য ৮ দফা কঠোর নির্দেশনা

১৭

ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে উইমেন চেম্বারের সংবর্ধনা

১৮

ম. রাশেদুল হাসান খানের কবিতা ‘শবযাত্রার সহগামী’

১৯

বাংলাদেশে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে : মহিউদ্দিন রাব্বানী

২০
X