জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে এক কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ও মতামতকে প্রাধান্য না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন তিনি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগ করা কমিশনারের নাম অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি এবং ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক।
অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এমন সময় পদত্যাগ করেছেন যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নিরবচ্ছিন্ন ভোটগণনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে আমরা যা বুঝি নির্বাচনে সেটি ছিল না। আমি যাতে পদত্যাগ না করি সেজন্য গতকাল থেকেই আমার ওপর চাপ ছিল, তবু আমি পদত্যাগ করছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এখন চলছে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা। জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনায় পোলিং অফিসারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সিনেট ভবনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলে ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, জাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। প্রশাসন যে কোনো মূল্যে জাকসুকে অকার্যকর করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আরিফ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলি, আপনারা সকলে সিনেট ভবনে জমায়েত হোন। আপনাদের ভোটের ফলাফল নিজেদের হাতে বুঝে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ফলাফল না নিয়ে সিনেট ভবন থেকে এক পা-ও নড়বেন না। জাকসু বানচালের এই ষড়যন্ত্র আমাদের একজোট হয়ে ব্যর্থ করে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন