ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৪০তম শোক দিবসে জগন্নাথ হলের স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে স্মৃতিস্তম্ভে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন ও নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদ সাদ্দাম মীর প্রমুখ।
এর আগে সকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জগন্নাথ হলের অক্টোবর স্মৃতি ভবনের টিভি কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, জগন্নাথ হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অজয় কুমার দাস, ড. জগদীশ চন্দ্র শুক্লদাস, ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ, জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব কুমার বর্মণ, জিএস সুদীপ্ত প্রামাণিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, জগন্নাথ হলের আহত ছাত্র প্রতিনিধি ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবরের মর্মান্তিক ঘটনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশকে একত্রিত করেছিল। ঐক্যের এই বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে হবে এবং সমাজে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিহতদের প্রতিকৃতির চিত্র ও তথ্যপ্রমাণাদি প্রদর্শন করা হয়।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২৬ জন ছাত্র, ১৪ জন অতিথি ও কর্মচারীসহ মোট ৪০ জন নিহত হন। আহত হন অনেক শিক্ষার্থী ও অতিথি।
মন্তব্য করুন