

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনে স্মারকলিপিটি জমা দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বাসভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, শহীদ ওসমান বিন হাদি একজন আপসহীন তরুণ নেতা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অগ্রপথিক। তিনি ফ্যাসিস্টদের পরিকল্পনায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের পূর্বপ্রস্তুতি ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগের অভাব, যোগ্যতার ঘাটতি, আন্তরিকতার অভাব এবং ঘটনার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও হত্যাকারী ও নেপথ্যের কুশীলবদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এতে উল্লেখ করা হয়, এই নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু একটি ব্যক্তির জীবন কেড়ে নেওয়া নয়; এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী কণ্ঠরোধের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। বিশেষত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-যুব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপিতে ছাত্রদল চারটি দাবি উত্থাপন করেন। সেগুলো হলো- শহীদ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হত্যাকারী, পরিকল্পনাকারী ও মদদদাতাসহ সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনতে হবে; হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্টদের অবহেলা খতিয়ে দেখতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে; ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; ভবিষ্যতে এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
স্মারকলিপির শেষাংশে বলা হয়, আইনের শাসন ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহীদ ওসমান বিন হাদির আত্মত্যাগের প্রতি ন্যূনতম সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন