

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে দেশটির ঘরোয়া বিষয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না, এমনটাই জানিয়েছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। খবর আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে হাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সচেতন যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এখনো পরিবর্তনশীল ও বিকাশমান। এ কারণে বিষয়টি গভীর ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণের প্রয়োজন রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে কোনো দেশেই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সাধারণত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার জন্ম দেয়। বহুল জনপ্রিয় তরুণ নেতা শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড সে বাস্তবতাকেই তুলে ধরে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন স্পষ্ট করে জানায়, ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে দৃষ্টি রাখছে, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তারা হস্তক্ষেপ করে না।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কিছু আন্দোলনকারী অভিযোগ করেছেন, ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশের আগের সরকারের কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। এ নিয়ে তারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে আজ সারা দেশে বাদ জুমা বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনি প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
মন্তব্য করুন