

ইডেন মহিলা কলেজে ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারটির আয়োজন করে ইডেন মহিলা কলেজভিত্তিক নারী সংগঠন ‘নারী অভিযাত্রা’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি বেগম সেলিমা রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও ইআরআইর চেয়ারম্যান ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন, ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নারী নেত্রী মানসুরা আলম, ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার।
এ ছাড়া কলেজের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমার মেয়েদের যখন দেখছিলাম, তখন ভেবেছিলাম নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে এবং নারী ক্ষমতায়ন খুব বেশি দূরে নয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জুলাই যুদ্ধে আমরা দেখলাম আমাদের মেয়েরা সেই মাঠে আন্দোলনে গান গাচ্ছে, স্লোগান দিচ্ছে। তখন ভেবেছিলাম, এই তো আমার তরুণ প্রজন্ম। তারা নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু সেই জুলাই যুদ্ধের পর দেখলাম, মেয়েদের আর দেখা যাচ্ছে না। এটাই বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী ক্ষমতায়ন হলো নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার। নারীরা একত্রীত না হলে নারী উন্নয়ন সম্ভব না। নারী ক্ষমতার একমাত্র পথ হলো শিক্ষা। যে শিক্ষার মাধ্যমে একজন মা তার বাচ্চাকে মানুষ করে গড়ে তুলবে। নারীকে শিক্ষিত করতে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। আমরা সুযোগ পেলে তা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।’
ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছেন। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হয়তো পিছিয়ে। তারা খুব ভালোভাবে যত্ন সহকারে নিজের কাজ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বে ছিলাম, তখন দেখেছি, নারীরা খুব যত্ন ও দায়িত্ব নিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করেন এবং নারীদের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হওয়ার প্রবণতাও কম।’
সেমিনারে বক্তারা নারীর ক্ষমতায়নের বর্তমান বাস্তবতা, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, ‘নারীর শিক্ষা, সচেতনতা ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো গেলে সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।’
মন্তব্য করুন