সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন ১৩৪ শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের ফল প্রকাশিত হয়।
এ ছাড়া খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশিপপ্রাপ্ত হয়েছেন ১৩০ জন শিক্ষার্থী এবং জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান গ্রুপে ফেলোশিপপ্রাপ্ত হয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী। পাশাপাশি মেধা তালিকায় প্রথম ১০০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ১০ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে ফেলোশিপপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা বলেন, ‘এই ফেলোশিপটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য। কারণ তাদের মাস্টার্সের রিসার্চ প্রজেক্টের জন্য বিভিন্ন স্টাডি এরিয়াতে যেতে হয়। পাশাপাশি গবেষণার কাজে আরও অনেক জায়গায় খরচের প্রয়োজন হয়। এই ফেলোশিপটি পাওয়ার পর তারা অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাধীনভাবে তাদের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে। একটি ভালো রিসার্চ পেপারও পাবলিশ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এই ফেলোশিপ। আমি সবাইকেই এই ফেলোশিপে প্রাপ্ত অর্থ আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের গবেষণা কাজে ব্যয় করার আহ্বান জানাব।’
উল্লেখ্য, বিগত ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ফেলোশিপটি দিয়ে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। মাঝে ২০০১-০৮ পর্যন্ত ফেলোশিপ প্রদান বন্ধ থাকলেও ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত নিয়মিতই ফেলোশিপ প্রদান করে আসছে বাংলাদেশ সরকার।
মোট ৩টি গ্রুপে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে- ১. ভৌত, জৈব ও অজৈব বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও পরিবেশবিজ্ঞান, নবায়নযোগ্য শক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ন্যনোটেকনোলজি, লাগসই প্রযুক্তি। ২. জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং ৩ খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান।
এ বছর তিনটি গ্রুপে মোট ৩৮৪৫ জন ছাত্র-ছাত্রী/গবেষকের অনুকূলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফেলোশিপ বাবদ মোট ২১ কোটি ৬০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়।
মন্তব্য করুন