বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান জায়গা যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো, তাই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীও এরইমধ্যে যুক্ত হয়েছেন টি-শার্ট ব্যবসার সঙ্গে। প্রায় প্রত্যেক ক্যাম্পাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে গড়ে উঠেছে এমন অগণিত প্রতিষ্ঠান, যারা ইম্পোর্টেড জার্সির পাশাপাশি নিয়মিতভাবে কাস্টমাইজড জার্সি ও টি-শার্ট সরবারহ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। তাদের কাজ ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
কাস্টমাইজড টি-শার্টের চাহিদা অনেকে বুঝলেও ছাত্রজীবনে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার সাহস সবার থাকে না। তবে প্রথম বর্ষেই সেরকম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হাছিবুর রহমান ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সৌরভ।
২০২১ সালের জুলাইতে ইম্পোর্টেড জার্সির পাশাপাশি ৩টি ডিসিপ্লিনের জার্সি বানিয়ে তাদের পথচলা শুরু। সব মিলিয়ে অর্ধশতাধিক ইভেন্টের জন্য কাস্টমাইজড টি-শার্ট, জার্সি তৈরি করেছেন বলে জানান তিনি।
২০২১ সালে কাজ শুরু করার পর কাজের চাপ সবসময়ই ছিল তাদের। তবে বিশেষ কোনো টুর্নামেন্ট কিংবা বার্ষিক উৎসবগুলোতে কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এ ছাড়াও শীতকাল, বিশেষ করে যখন নতুন কোনো ব্যাচ আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখনও অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।
চাকরির পেছনে ছুটে বেড়ানোকে অনর্থক বলে মনে করেন তারা। সৎভাবে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে ব্যবসাকেই প্রাধান্য দেওয়ার চিন্তা তাদের।
তারা বলেন, বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ। এখানে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। আমি মনে করি যার প্যাশন আছে, সে যেন চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসায় মনোযোগ দেয়।
ভবিষ্যতে তাদের স্বপ্ন আছে দেশের প্রতিটা বিভাগীয় শহরে তাদের নিজস্ব আউটলেট তৈরি ও বড় কারখানা তৈরি করে নিজেদের মতো করে কাস্টমাইজড জার্সি উৎপাদন করার।
মন্তব্য করুন