চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল স্বপ্ন

আল আমিন। ছবি : সংগৃহীত
আল আমিন। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার হওয়ায় স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাঠ চুকিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করার স্বপ্নপূরণ হল না আল আমিনের। মর্মান্তিক এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কেড়ে নিল তার প্রাণ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আল আমিন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আল-আমিনের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার কর্ণপাড়া গ্রামে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের পরিবারে একমাত্র আল আমিনেরই সুযোগ হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পরীক্ষা শেষ করে ছুটি কাটাতে বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি বিভাগের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষে ছুটি কাটাতে বাড়িতে গিয়েছিলেন আল আমিন। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে বড় ভাই নয়ন তালুকদারের মোটরসাইকেল করে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন আল আমিন। বড় ভাইয়ের নতুন বাইকে কিছুদিন আগেই বাইক চালানো শিখেছিলেন। আত্মীয়ের বাসায় ঈদ উপহার নিয়ে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হন আল-আমিন।

পরে ওইদিনই সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে রাত ২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অপারেশন শেষে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুইদিন পর আজ শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আল আমিনের বড় ভাই নয়ন তালুকদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যান আল আমিন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে ওই দিনই অস্ত্রোপচার করা হয়। দুই দিন সেখানে থাকার পর আজ ভোরের দিকে মারা যান তিনি। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বড় ভাই নয়ন তালুকদার কালবেলাকে বলেন, আমাদের পরিবার ও পুরো গ্রামের আইকন ছিল আল আমিন। তার স্বপ্ন ছিল পড়াশুনা শেষ করে বিসিএস ক্যাডার হবে। কয়দিন আগেই অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষে ছুটিতে বাড়িতে এসেছে সে। তার আকস্মিক মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।

আল আমিনের বন্ধু রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আল আমিন অমায়িক একটি ছেলে ছিল। প্রথম বর্ষের শুরুর দিকে শাহজালাল হলে এবং শেষের দিকে আব্দুর রব হলে ছিল। বিভাগের সবার সাথে সে মিলেমিশে চলতো। রাজনীতির সাথে ওভাবে জড়িত ছিল না। তার এমন দুর্ঘটনায় আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

সেনাবাহিনীকে গাজায় অভিযান থামাতে বলল ইসরায়েল

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

যশোরে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতার মৃত্যু

আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি টাকা জিতলেন প্রবাসী হারুন

আকাশপ্রেমীদের জন্য এ মাসে দারুণ খবর

আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এসএসসি পাসেই চাকরি দিচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপ

৪ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১০

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক কমেছে : এফএও

১১

টিভিতে আজকের যত খেলা

১২

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

১৩

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

১৪

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

১৫

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

১৮

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

১৯

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

২০
X