দেশে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৬. ০৮ শতাংশ। সেই হিসাবে নিরক্ষর ২৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো প্রায় ২৩.২ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর। শতভাগ জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অন্যদিকে মন্ত্রণালয়টির সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে একটি বিধিমালার খসড়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে দুদিন আগে এসেছে আমাদের কাছে। আমরা এসআরও নম্বরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এসআরও নম্বর হয়ে গেলেই গেজেট হয়ে যাবে। এরপর এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা এটি প্রকাশ করব। এটি জারি হলে বেসরকারি পর্যায়ের যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, সেগুলো একটি নিয়মনীতির আওতায় আসবে। নিবন্ধন বা একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া বেসরকারি পর্যায়ের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারবে না।
তিনি বলেন, কিন্ডারগার্টেন মালিকদের দাবি ছিল, নিবন্ধন ফি যাতে বাড়তি না নেওয়া হয়। আমরা এক টাকাও বাড়াইনি। ২০১১ সালে যে ফি ছিল, ২০২৩ সালের বিধিমালায় সেই ফি রাখা হয়েছে।
৪৭ হাজারের কাছাকাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশের নিবন্ধন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও ৯০ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের বাইরে। কাজেই শুধু সরকারি স্কুল দিয়ে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন সম্ভব হবে না। সরকারি-বেসরকারি সবাইকে নিয়েই করতে হবে। সে কারণে আমরা সব জায়গায় হাত দিচ্ছি। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধনের বাইরে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় যাতে না থাকে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।
মন্তব্য করুন