সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমকে সফল করতে হলে অন্যসব অংশীজনের মতো অভিভাবকদের কথাও শুনতে হবে। কারণ তারাই এ বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চলপড়ি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলার ৫৬টি স্কুলে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের ওপর চলপড়ি পরিচালিত প্রকল্পের ফলাফল তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজির ফলাফল এবং ক্লাসে অংশগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
বৈঠকে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা ওঠে আসে। এ ছাড়া বাংলাদেশে তুলনামূলক নতুন এই পদ্ধতিটির সঙ্গে পরিচয়ের জন্য যথাযথ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবকদের সংযুক্তি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষক যখন বলবেন ‘আই অ্যাম দ্য সলিউশন- তখনই ডিজিটাল এডুকেশন আর ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব থেকে সরকারকে আমরা সরে যেতে দেব না। আর সে জন্য শুধু সফলতার গল্প নয়, আমাদের প্রমাণনির্ভর অ্যাডভোকেসি করতে হবে।
চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ও পিয়ার টু পিয়ার লার্নিংয়ের মাধ্যমে আমরা এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যা হবে সময়োপযোগী, দায়িত্বশীল ও লক্ষ্য নির্ভর।
বৈঠকে ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়নের একটি আনুষ্ঠানিক ও কাঠামোগত নীতিমালা তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সেইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এই লক্ষ্যে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন বক্তারা।
মন্তব্য করুন