বলিউডে যেন এখন উৎসবের আমেজ। একদিকে কিং খান শাহরুখের হাতে উঠেছে বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় পুরস্কার, অন্যদিকে রানি মুখার্জিও পেলেন জীবনের প্রথম জাতীয় সম্মান। একসঙ্গে এই দুই তারকার পুরস্কার প্রাপ্তি যেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর সেই সিনেম্যাটিক মুহূর্তকে ফিরিয়ে এনেছে। পুরো ইন্ডাস্ট্রি, ভক্তদের শুভেচ্ছা আর আনন্দে মেতে উঠেছে খান ও মুখার্জি পরিবার। তবে জাতীয় পুরস্কার হাতে সেটি নিজের প্রয়াত বাবা-মায়ের প্রতি উৎসর্গ করেছেন রানি মুখার্জি।
এ বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানে রানি বলেন, ‘আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে পাওয়া এই সম্মান আমার কাছে এক বিরাট প্রাপ্তি একজন অভিনেতা হিসেবে। আমার এই সম্মান আমি আমার বাবাকে উৎসর্গ করতে চাই। আমার বাবা সারাজীবন এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করেছেন। এই দিনে আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছে এবং আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমার বাবা আমার সঙ্গেই রয়েছেন। আর রয়েছে আমাকে সর্বদা সাহস জুগিয়ে চলা আমার মা। যার শক্তি আমাকে চালনা করেছে এবং এ রকম এক ছবি দর্শককে উপহার দিতে সাহায্য করেছে।‘
এর আগে রানি ভারতীয় গণমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সত্য়িই দারুণ খুশি এবং গর্বিত বোধ করছি। মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবিতে আমার অভিনয়কে এত বড় সম্মান দেওয়ায় আমি আপ্লুত। আমার ৩০ বছরের সিনে ক্যারিয়ারে এটাই আমার প্রথম জাতীয় পুরস্কার। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আমার অভিনয় জীবনে বহু ভালো ভালো ছবিতে কাজ করেছি। দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাই জাতীয় পুরস্কারের সঙ্গে যুক্ত বিচারকদের। ধন্যবাদ জানাই ছবির পরিচালক অসীমা ছিব্বর এবং প্রযোজক নিখিল আদভানি, মণীশা এবং মধুকে। এই সম্মান আমার ৩০ বছরের অভিনয় জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করল।’
রানি আরও বলেন, ‘আমার এই পুরস্কার উৎসর্গ করতে চাই বিশ্বের সব কোণে ছড়িয়ে থাকা সেই মায়েদের যারা নিজের সন্তানের জন্য লড়ে যাচ্ছেন, আত্মত্যাগ করছেন। ধন্যবাদ জানাই সমস্ত দর্শক, অনুরাগীদের যাদের জন্য এই ৩০ বছর ধরে সিনেপর্দায় চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। তারা না থাকলে, এই সম্মান আমার এই অভিনয় যাত্রা কখনই সফল হতো না।’
মন্তব্য করুন