

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যজনক মৃত্যুর পর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজ বাসভবনে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা পুরো দেশজুড়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করে। সিবিআই কর্তক মৃত্যুতদন্তের রিপোর্টে, সুশান্তের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হয়। তদন্তে খুন বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো বিষয় উঠে আসেনি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুশান্তের বোন শ্বেতা সিং কীর্তি জানালেন, তার ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে আমেরিকা ও মুম্বাইয়ের দুই মনস্তাত্ত্বিকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তারা দুজনই জানিয়েছেন, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছিল সুশান্তকে।
ভাইয়ের মৃত্যুরহস্যের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কীর্তির মনে জমে আছে একাধিক প্রশ্ন। তার কথায়- “এটা কিভাবে আত্মহত্যা হতে পারে? বিছানা ও ফ্যানের মাঝে তেমন কোনো দূরত্বই ছিল না যে, একজন মানুষ সেখানে থেকে ঝুলে পড়তে পারবে। টুলের উপরে না উঠলে তো ফ্যান স্পর্শ করা অসম্ভব ছিল। তবে ঘটনাস্থলে তো কোনো টুলই পাওয়া যায়নি। তাহলে এটা কিভাবে আত্মহত্যার কেস হতে পারে!”
সুশান্তের মৃত্যুর সময় তার গলায় ফাঁসের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। তবে অভিনেতার বোনের দাবি, “ঘটনাস্থলে যে ওড়না পাওয়া গিয়েছিল, সেটার দাগ সুশান্তের গলায় ছিল না। ওর গলায় শেকলের মতো কিছু একটার দাগ ছিল।” মনে নানা প্রশ্ন নিয়ে একে একে দুজন মনস্তাত্ত্বিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কীর্তি। এমনকি সুশান্তের মৃত্যুর পর, আমেরিকার মনস্তাত্ত্বিক নিজেই তার সঙ্গে দেখা করে জানান, “সুশান্তকে খুন করা হয়েছিল। দুজন এসেছিল ওকে খুন করতে।” পরবর্তীতে একই দাবি করেন মুম্বাইয়ের আরেক মনস্তাত্ত্বিক, এমনটাই দাবি করেন অভিনেতার বোন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের দেহ উদ্ধার করে মুম্বাই পুলিশ। কয়েক দফা তদন্তের পর সর্বশেষ তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়, হতাশার কাছে পরাস্ত হয়ে সুশান্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাকে হত্যা কিংবা হত্যাচেষ্টার মতো কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন