শফিকুল ইসলাম লিপু, যিনি লিপু মামা হিসেবেই মিডিয়া পাড়ায় পরিচিত। থিয়েটার থেকে শুরু করে টিভি নাটক এমনকি বাংলা চলচিত্রেও তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন। বর্তমানে টিভি নাটকের পাশাপাশি কাজ করছেন একটি ইউটিউব চ্যানেলের ধারাবাহিক নাটকগুলোতে।
শফিকুল ইসলাম লিপু ১৯৭২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কৌড়ি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাথে জড়িত। গান বাজনা নাটক সিনেমা পছন্দ করতেন। এর ফলে যেকোনো স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলেই ছুটে যেতেন তিনি।
১৯৮৬ সালে কিশোর বয়সে সখের বশবর্তীতে প্রথম মঞ্চ নাটক ‘কে দুশ্য’ নাটকের মধ্য দিয়েই অভিনয়ে জগতে পা রাখেন। ১৯৯৫ সালে এসএসসি পাশ করে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তার রঙ আর তুলির সাথেও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনের মাধুরী মিশিয় আঁকতেন বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতিক দৃশ্য। লিখতেন নানা ডিজাইনের ব্যানার ফেস্টুন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সাল থেকে ঢাকার টিকাটুলিতে প্রতিষ্ঠিত করেন লিপু মামার তুলি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে রঙ তুলির আঁচর। পাশাপাশি চালিয়ে যান থিয়েটারে অভিনয়।
১৯৯৮ সালে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার ও নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদ রচনা ও আবুল হায়াত পরিচালনায় বিটিভিতে ‘রং ধনু’ নাটকের মাধ্যমে প্রথম টিভি পর্দায় আসেন তিনি। এরপর বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘জিনের বাদশা’ সিনেমায় অভিনয়ে মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পর্দাপণ করেন। এ পর্যন্ত নাটক, ছায়াছবি, টেলিফিল্মসহ প্রায় ৬০টিতে অভিনয় করেছেন। এর ফলে জনপ্রিয়তা পেয়ে মিডিয়া জগতে বেশ পরিচিতি লাভ করেন লিপু।
বর্তমানে তিনি কচি আহমেদ প্রযোজনায় একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রজেক্ট ধারাবাহিক ‘গরীবের বৌ’ নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ নাটকে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনয় নিয়ে লিপু জানান, আসলে এটা একমাত্র সৌখিনতার বশেই হয়েছে। কিশোর বয়স থেকেই আমার ছবি আঁকাআঁকি, গান ও নাটকের প্রতি বেশ আগ্রহ কাজ করত। শিশু শিল্পী হিসেবে আশির দশকে গ্রামের নাটকগুলোতে অভিনয় করতাম। সেই শখটা আসলে মন থেকে কখনও যায়নি। পরে গ্রাম থেকে ঢাকা আসলাম। রঙতুলির কাজ করতাম। পরে টিকাটুলি দোকান দিলাম আর্টের কাজ করতাম। পাশাপাশি থিয়েটারে কাজ শুরু করলাম। এভাবেই আস্তে আস্তে টেলিভিশন ও সিনেমায় কাজ শুরু হয়। আর টিকাটুলি মহল্লায় যখন রংতুলির দোকান দিলাম। তখন অনেকেই মামা বলে সম্বোধন করত। সেই জায়গা থেকেই আসলে লিপু মামা নামটা ছড়িয়ে যায়। যা মিডিয়াতে এখনও আমাকে লিপু মামা বলেই সবাই চেনে, জানে ও ভালোও বাসে।
মন্তব্য করুন