যুক্তরাষ্ট্র নীতিগতভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রকাশ করে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
সোমবার (২৪ জুলাই) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ওই ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকার হামলা করছে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুঠোফোন চেকসহ সমাবেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমনকি মৃত নেতা-কর্মীরাও মামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশে যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করবে?
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের
এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘ নীতিগতভাবে অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রকাশ করলেও কারও বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে সেটা আমরা প্রকাশ করে করি না। তবে অন্যান্য নিষেধ-নীতিমালার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেটা পর্যালোচনা করে না। আমি আগেও ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলেছি।’
মিলার আরও বলেন, গত ২৪ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছেন। তখন তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধা দেবে বা ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ভিসা নীতির আওতায় রয়েছে- নির্বাচনে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, সহিংসতা, সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার ক্ষুণ্ন করা। এর বাইরে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচারে বাধা দেওয়ার পদক্ষেপও এই ভিসা নীতির আওতায় পড়বে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন