তিন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
বুধবার (২৪ জুলাই) ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, পুলিশের তিন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। যারা তাদের হত্যা করেছে, যারা পোশাকধারী পুলিশের ওপর হামলা করেছে, তাদের একজনকেও রেহাই দেওয়া হবে না। তারা যেই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ও মৌলবাদী শক্তি দেশব্যাপী নাশকতার নেতৃত্ব দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৩৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকে রিমান্ডে আছেন এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা ৬৯টি পুলিশ স্থাপনায় হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি ট্রাফিক বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও স্টেশনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বলেন, হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর প্রথম গুলি ছোড়ে পুলিশ। তাই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থিদের পুলিশের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তাই যেকোনো নাশকতার প্রথম লক্ষ্যবস্তু বাংলাদেশ পুলিশ।
তিনি বলেন, নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এবং যেভাবে পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি স্থাপনা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এটা ছাত্র আন্দোলন হতে পারে না। আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এর পেছনে বিএনপি-জামায়াত ছিল। এর সঙ্গে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী জড়িত ছিল না বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বলেন, আমরা হামলার স্থানের সব ফুটেজ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে ভিডিও পাচ্ছি। সাধারণ মানুষ ভিডিও আমাদের দিচ্ছেন। আমরা সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করছি। যারা এই সহিংসতার মূলহোতা, তাদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন