প্রশাসনে বড় রদবদল করা হয়েছে। পাঁচজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। দপ্তর বদল করা হয়েছে সাতজন যুগ্মসচিব ও একজন উপসচিবের। সেইসঙ্গে দুজন যুগ্মসচিব ও একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের বদলি আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যেখানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হাসান আরিফকে পরিচালক হিসেবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি), খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুর রশিদকে পরিচালক হিসেবে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত মো. সোহেলুর রহমান খানকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে অ্যাকটিভেটিং ভিলেজ কোর্টস ইন বাংলাদেশ প্রকল্পে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে সংযুক্ত মুহাম্মদ জহুরুল ইসলামকে অতিরিক্ত নিবন্ধক হিসেবে যৌথ মূলধন ও ফার্মসমূহের দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে সংযুক্ত ড. মো. আশরাফুজ্জামানকে পরিচালক হিসেবে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে বদলির আদেশাধীন ফয়েজ আহমেদকে বিদ্যুৎ বিভাগে, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এএনএম মঈনুল ইসলামকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার হোসেনকে পরিচালক হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগে, শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল্লাহকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এবং রাজউকের পরিচালক সুব্রত কুমার সিকদারকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দা ফারহান কাউনাইনকে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে করা বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে।
আরেক আদেশে বলা হয়, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রগ্রামের পরিচালক যুগ্মসচিব ওমর মো. ইমরুল মহসিন এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের পরিচালক সরদার মো. কেরামত আলীর বদলি আদেশ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব ড. কেএম আলমগীর কবিরকে অর্থ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন