অসৎ উদ্দেশ্যে জমির নামজারি নামঞ্জুর করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও অসদারণের দায়ে বেতন গ্রেড কমিয়ে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি শাস্তি দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাকে নবীন কর্মকর্তা বিবেচনা করে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুন্নেছা আক্তার।
গত ১ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে তার শাস্তি মওকুফ করেছেন। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ফয়জুন্নেছা ২০১৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তার চাকরির বয়স এখন ১০ বছর।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফয়জুন্নেছা আক্তার মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত থাকার সময় ‘গোল্ডেন সন লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেন। সে সময় পুরানা পল্টনের ৮৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের জমি পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের নামজারি নামঞ্জুর করেন। কিন্তু একই হোল্ডিংয়ের ভিন্ন নামজারি মামলা মঞ্জুর করেন।
নামজারি নিয়ে অনিয়মের দায়ে ফয়জুন্নেছার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩ (খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে সব বিধিগত প্রক্রিয়া শেষে তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুই বছরের জন্য ‘বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ’ করে। অর্থাৎ ষষ্ঠ গ্রেডে ৩৫ হাজার ৫০০-৬৭ হাজার ১০ টাকা বেতন স্কেলের নিম্নধাপ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল বেতনে অবনমিতকরণসূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।
গত ১ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ফয়জুন্নেছাকে দেওয়া লঘুদণ্ডাদেশ থেকে অব্যাহতির জন্য নির্ধারিত সময়ে আপিল করায় রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে আদেশ করেছেন, ‘আপিলকারী একজন নবীন কর্মকর্তা’। তার চাকরির বয়স বিবেচনা করে আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতির প্রদান করা হলো।
মন্তব্য করুন