কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এবার বান্ধবীসহ আনিসুল হকের ‘অবৈধ সম্পদের’ খোঁজে দুদক

অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : কালবেলা
অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিম ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ছবি : কালবেলা

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার বান্ধবী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে তাদের প্রধান কার্যালয়ের কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনিসুল হক এবং তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনিসুল হক এবং তৌফিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৪ সালে আইনমন্ত্রী হন আনিসুল হক। এরপর দীর্ঘ প্রায় এক দশক তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অবৈধ সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে। নিজ নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ত্রিশাল এবং পূর্বাচলে ৬.৮০ একর জমি কিনেছেন। সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংকে শেয়ারের পরিমাণ ৪০.১০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকা। এ ছাড়া ৪টি গাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে।

২০১৪ সালের পর থেকে বিচারাঙ্গনে মন্ত্রী ও তার বান্ধবী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ ছিল না। বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে যত নিয়োগ হয়েছে তার অধিকাংশেই খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি হওয়াসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্যসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। আর নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশিরভাগের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা অথবা কুমিল্লা এলাকার বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বিধায় তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন। তিনি নিম্ন আদালতের অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করতেন। তার সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে তথ্যানুসন্ধানে জানতে পারে দুদক।

উল্লেখ্য, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাবা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের চেম্বারে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন তৌফিকা করিম। সিরাজুল হক মারা যাওয়ার পর তৌফিকা হয়ে যান আনিসুল হকের জুনিয়র। তৌফিকা আইনপেশার সূত্রে আনিসুল হকের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। স্ত্রী-সন্তানবিহীন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আস্থাভাজন ও ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত পান আদালত পাড়ায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়া নিয়ে নতুন ভাবনা মেডিকেল বোর্ডের

নওগাঁ জেলা পরিষদ পার্কের অধিকাংশ রাইডস ব্যবহারের অনুপযোগী

এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি

যে কারণে স্কালোনির কাছে ক্ষমা চাইলেন ফিফা সভাপতি

আগামী নির্বাচন দেশ ও জনগণের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমুজ্জামান

যথাসময়ে আইনি পদক্ষেপ নেব : শিশির মনির

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সব দিক থেকেই এগিয়ে যাবে : তারিক চয়ন

পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বুইশ্যার সহযোগী ইমন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

‘খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, সিটিস্ক্যানসহ কিছু টেস্ট নরমাল’

সামনে অনেক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে : তারেক রহমান

১০

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ৪৮৯ পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত

১১

ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ সাকিব, তবু জয় পেয়েছে তার দল

১২

নতুন এমপিও নীতিমালা প্রকাশ, এল বড় পরিবর্তন

১৩

বেপরোয়া গতির অ্যাম্বুলেন্স গিয়ে পড়ল পুকুরে, অতঃপর...

১৪

অস্ত্র সমর্পণের জন্য নতুন শর্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের

১৫

শ্যালিকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার বলিউড পরিচালক

১৬

যোগদান করেই যে নির্দেশনা দিলেন চট্টগ্রামের নতুন এসপি

১৭

মামলার বিষয়ে শিশির মনিরের প্রতিক্রিয়া

১৮

বাংলাদেশে সৎ নেতার অভাব : এটিএম আজহার

১৯

কবরে মিলল বস্তাভর্তি একনলা বন্দুক-পাইপগান

২০
X