তরুণদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে মুক্তির জন্য তরুণরা বিভিন্ন জায়গাতে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামে আদিবাসী তরুণদেরও যোগ দিতে হবে। তাদের পরিবর্তনের দূত হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপিএসের পরিচালক শাহনাজ সুমি। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, মটস্-কারিতাস পরিচালক জেমস গোমেজ, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি হরেন্দ্রনাথ সিং, হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটির সদস্য সুরতী সিং প্রমুখ।
মেনন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উপকূল থেকে প্রায় তিন কোটি মানুষ ভবিষ্যতে বাস্তুচ্যুত হবে। চট্টগ্রামে বন্যা, পাহাড়ের ভূমিধস জলবায়ু পরিবর্তনেরই প্রভাব। এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে দেশ ও বিশ্বকে একমাত্র তরুণরাই বাঁচাতে পারে। পাহাড়ের আদিবাসী কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারবিষয়ক কার্যক্রমকে শুধু এনজিওর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এটিকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্র্রীয় দায়িত্ব হিসেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
কারিতাস পরিচালক জেমস গোমেজ বলেন, এই বিশ্বে যুবকদের সংখ্যা বেশি, এ জন্যই এবারের প্রতিপাদ্যে যুবকরা প্রাধান্য পেয়েছে। যুবকদের কারিগরী শিক্ষার পাশাপাশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য মট্স কারিতাস আদিবাসী জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ৩৩ শতাংশ যুবকদের কারিগরী প্রশিক্ষণের সুযোগ রেখেছে।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি হচ্ছে, পাহাড়ি বিশেষ করে চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলার আদিবাসীদের বড় রাজনৈতিক অর্জন। এই চুক্তির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে ভূমিসহ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের অধিকার পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর নিজেদের জীবন নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। এই কাজে সফলতার জন্য আদিবাসী যুবসমাজ ও জাতিগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
মন্তব্য করুন