ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আমরা সিঙ্গাপুরের মডেল অনুসরণ করে মাঠপর্যায়ে মশার আধার নির্মূলে কাজ করছি। ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে যেসব ওয়ার্ডে গত এক সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, সেই ওয়ার্ডগুলোকে লাল বা বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসী, এলাকার মুরব্বিসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) বাসাবো কালিমন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগ বিস্তার রোধে মশক নিধনে জনসম্পৃক্ততা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি, এখন দক্ষিণে ৭০ জনের মতো রোগী আছে—তারপরও আমরা তৃপ্তি প্রকাশ করছি না। আগে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ব্যাপক আকারে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হতো। এখন রোগী কম, তারপরও বৃষ্টি যেহেতু শেষ হয়নি তাই আমরা বৃহৎ আকারে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
শেখ তাপস বলেন, ‘এটা ভরা মৌসুম। এখনো বর্ষা শেষ হয়নি। গতকালও বৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং পানি কিন্তু কিছুক্ষণ পরপরই জমবে। যেহেতু ভাদ্র মাস ভরা মৌসুম সুতরাং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম আমরা আরও বেগবান করেছি। যেহেতু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি সেহেতু এই সুযোগে আমরা যদি একদম নির্মূলের পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সামনের দিনে আর বাড়তে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য হলো মশক প্রজননের আধার বিনষ্ট করা। আমরা যতই সোর্স রিডাকশন করতে পারব আমাদের কার্যক্রম ততই ফলপ্রসূ হবে। এজন্য জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে আমরা এই কার্যক্রম নিয়েছি।’
মেয়র বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মার্শাল এগ্রোভেট তাদের কোনো চুক্তির ব্যত্যয় করেনি। তবে ব্যত্যয় পেলে ব্যবস্থা নেব। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ সিটির সঙ্গে তাদের চুক্তির কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। যদিও উত্তরে একটি ঘটনা ঘটেছে, দক্ষিণে মার্শাল নিয়ম মেনেই কাজ করছে। আমরা কারও মাধ্যমে (কীটনাশক) আমদানি করি না। ২০১৯ সালের পর থেকে আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী উৎপাদনকারীর কাছ থেকে সরাসরি আমদানি করি।’
গত দুই সপ্তাহ পর্যালোচনা করে ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে বলে জানান মেয়র। এ সময় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ডিএসসিসির বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন