বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার একমত হলে রাখাইনে খাদ্য সহায়তা পাঠাতে জাতিসংঘ করিডোর চালু করতে পারে, এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। সংস্থাটি বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করতে কাজ করবে জাতিসংঘ।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে সীমান্ত পেরিয়ে যেকোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমতি নিতে হয়।
এ ছাড়া সংস্থাটি সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য শর্তসাপেক্ষে 'মানবিক করিডর' দেওয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যুতে অর্ন্তবর্তী সরকার কিসের ভিত্তিতে এবং কোন প্রক্রিয়ায় 'মানবিক করিডর' প্রদানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
মন্তব্য করুন