২০২৫-২৬ সালের জন্য ঘোষিত বাজেটে জননিরাপত্তা খাতে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এবার এই খাতে ২৭ হাজার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই প্রস্তাব ছিল ২৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল। যা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছিল ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।
সোমবার (২ জুন) অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাবের ২৭ হাজার ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার মধ্যে পুলিশ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা ছিল ১৭ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিব) এর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, বিদায়ী অর্থবছরে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা।
দেশের উপকূল রক্ষার দায়িত্বে থাকা কোস্ট গার্ড বাহিনীর জন্য এবারের বাজেটে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এই বরাদ্দ ছিল এক হাজার ৫১ কোটি টাকা।
এদিকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য এবারের বাজেটে ২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। বিদায়ী অর্থ বছরে বাহিনীটির জন্য বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা।
গত তিনটি বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি অর্থবছরেই সরকার জননিরাপত্তায় বাজেট বাড়িয়েছে, এবারের ঘোষিত বাজেটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে জননিরাপত্তায় ২২ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা, পরের বাজেটে ২৫ হাজার ১২৫ কোটি এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ছিল ২৫ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।
এবারের বাজেট প্রস্তাবে জননিরাপত্তা বিভাগে বরাদ্দ করা টাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা, সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মান, সাইবার অপরাধ দমন ও সাইবার সক্ষমতা বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন এলাকায় থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মান নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, র্যাব ফোর্সেসের সদর দপ্তর নির্মান, আভিযানিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং সংস্থাটির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে খরচ করা হবে।
এ ছাড়াও বিজিবির জন্য সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ, বিজিবির নবসৃষ্ট নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন ও গাজীপুর ব্যাটালিয়নের (৬৩ বিজিবি) অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মান, কোস্টগার্ডের জন্য লজিস্টিক ফ্লিট মেইনটেন্যান্স গড়ে তোলা এবং উপকূল রক্ষার দায়িত্বে থাকা বাহিনীটির সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিস্থাপক জাহাজ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য বরাদ্দ টাকা অন্যান্য ব্যয়ের সঙ্গে বাহিনীর অস্ত্রগার (প্রথম পর্যায়ে ৪০) নির্মানে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন