

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির অন্যতম ঐতিহ্যের নিদর্শন আরবান আলী সওদাগর বাড়িটি আগুনে পুড়ে গেছে। আগুনে ওই বাড়িসহ আশপাশের মোট ১০টি ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হালদারকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, অন্তত দুই শত বছর আগে বার্মার (মিয়ানমার) রেঙ্গুন শহর থেকে জাহাজযোগে সিদ্ধকৃত সেগুন গাছ এনে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বার্মার (মিয়ানমার) রেঙ্গুনের তৎকালীন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী আরবান আলী সওদাগর কাঠের তৈরি দ্বিতল বিশিষ্ট বাড়িটি তৈরি করেন যা তখন অত্র অঞ্চলে দৃষ্টিনন্দন ছিল। পরবর্তীতে বাড়িটি দেশের একটি ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে উঠে।
প্রাকৃতিকভাবে মৎস্য প্রজননের জন্য এশিয়া বিখ্যাত হালদা নদীর তীরবর্তী জনপদে ব্রিটিশ শাসনামলে বাড়িটি নির্মিত হলেও পুড়ে যাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বাড়িটি ছিল টেকসই ও মজবুত। সিদ্ধ করা সেগুন গাছের শক্ত পাটাতন আর বড় সাইজের লোহার পেরেক (বল্টু) দিয়ে ঐতিহ্যের নিদর্শন দ্বিতল এ ঘর নির্মিত হয়। এখানে বংশ পরম্পরায় দুই শত বছর ধরে প্রখ্যাত ব্যবসায়ী আরবান আলী সওদাগরের পূর্বসূরিরা স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
সমিতিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। মোট ১০টি পরিবারের ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
সমিতিরহাট ইউনিয়ন পরিষদেন চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আলম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। তবে আগুনের লেলিহান দাবালনের মতো ছড়িয়ে পড়ায় আগুন থেকে ঘরগুলো রক্ষা করা যায়নি।
এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম কালবেলাকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন