

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ৬ বছরের ফুটবল প্রতিভা সোহান আবারও আলোচনায়। এবার তার বড় আকাঙ্ক্ষা হলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ। পাঁচআনি গ্রামের এই খুদে ফুটবলার সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সে তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
খুদে ফুটবলার সোহান বলেন, ‘আমি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে চাই। আপনারা আমাকে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দিন।’ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ফুটবল নৈপুণ্যের মাধ্যমে দেশের মানুষের মন জয় করা সোহান এখন জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সে বিকেএসপির নিয়মিত অনুশীলনে যুক্ত থাকার জন্য আগামী ৩ জানুয়ারি আবার ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
ফুটবলার সোহানের বাবা মো. সোহেল বলেন, ‘আমাদের পরিবার অনেক খুশি যে জাতীয় পর্যায়ে আমার ছেলে আজ প্রাপ্তির মুখে আছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ও ছুটিতে বাড়িতে আছে। আগামী ৩ জানুয়ারি আবার বিকেএসপিতে যোগ দেবে। আমি চাই তার প্রতিভা দেশের জন্য কাজে লাগুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বয়সে তার এত স্বপ্ন থাকা খুব স্বাভাবিক তবুও ওর এই দৃঢ় মানসিকতায় আমি গর্বিত। দেশের প্রতি ভালো কিছু করতে পারলে এটাই আমাদের সুখ।’
ফুটবলপ্রেমীরা ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ব্যাপক আলোচিত সংবাদ ছড়ায়। ঠিক এই সময়েই ‘মেসি খ্যাত’ খুদে ফুটবল প্রতিভা সোহানের মধ্য থেকে একটি আকাঙ্ক্ষা জন্মে সে তারেক রহমানকে দেখতে চায়, তার সঙ্গে কথা বলতে চায়।
স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা মনে করেন, এমন প্রতিভাধর শিশুর কাছে দেশপ্রেম, বড় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করার আকাঙ্ক্ষা একেবারেই স্বাভাবিক এবং সমাজের স্বীকৃতির একটি অংশ।
সোহানের ফুটবল প্রতিভা প্রথম আলোচনায় আসে একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে যেখানে সে বল নিয়ন্ত্রণ, ড্রিবল করার দক্ষতা প্রদর্শন করেছিল। পরে বিষয়টি নজরে আসে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তখন তিনি সোহানের পড়াশোনা ও সকল দায়-দায়িত্ব নেন তিনি। এ ধারাবাহিকতায় তাকে ক্রীড়া উপদেষ্টা বিকেএসপি স্কলারশিপ দিয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়। বিকেএসপির মাঠে সে সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষামূলক অনুশীলন সম্পন্ন করেছে।
বিকেএসপি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই তার জন্য হোস্টেল ও কোচের তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করেছে। যাতে সে পূর্ণ মনোযোগে খেলাধুলা ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, ‘আমরা প্রতিভাধর শিশুদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বাস করি। সোহানের মতো শিশুর প্রতিভা শুধু দেশের নয় মতলবেরও গর্ব। আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাব।’
মতলব উত্তর স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. শামিম খান বলেন করেন, ‘এমন প্রতিভাকে যদি সময়মতো সুযোগ দেওয়া হয়, সে ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ে দেশকে নাম উজ্জ্বল করতে পারে।’
মন্তব্য করুন