

গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাবের একটি যৌথ দল।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানাধীন নাজিমখান ইউপির রামকৃষ্ণ মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত মাস্তুরা আক্তার সুমা (২৮) ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার পূর্ব নড়াইল এলাকার মিরাজুল ইসলামের মেয়ে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন দুলু (৩০) রংপুর জেলার বাসিন্দা।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিব হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘাতক জালাল হোসেন ও তার স্ত্রী মাস্তুরা আক্তার ওই ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বসবাস করতেন। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে জালাল তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর ঘাতক জালাল নিথর দেহটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। পলায়নরত অবস্থায় সে তার শ্বশুরকে (ভিকটিমের বাবা) ফোন করে জানায়, আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি, এসে লাশ নিয়ে যান। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে জিএমপির বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাত ১টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানাধীন নাজিমখান ইউপির রামকৃষ্ণ মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে ঘাতক জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১ কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাজীপুর মহানগর পুলিশের বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধ দমনে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
মন্তব্য করুন