

১৫ বছর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জয়ের দেখা পেল ইংল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে চার উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে সফরকারীরা। নাটকীয়ভাবে মাত্র দুই দিনেই শেষ হওয়া এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য যেমন স্মরণীয়, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতাশার।
কঠিন ও আলোচিত উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ইংল্যান্ডও বড় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়—১১০ রানেই অলআউট হয় তারা। ফলে ম্যাচটা দ্রুতই রূপ নেয় বোলারদের লড়াইয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াও সুবিধা করতে পারেনি। ট্রাভিস হেডের ৪৬ রানের ইনিংস ছাড়া আর কেউ বড় অবদান রাখতে না পারায় স্বাগতিকদের ইনিংস থামে ১৩২ রানে। এতে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৫।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি (৩৭) ও বেন ডাকেট (৩৪) ভালো সূচনা এনে দেন। এরপর জ্যাকব বেথেলের ৪০ রানের ইনিংস ম্যাচের ভিত গড়ে দেয়। যদিও বেথেল আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। জো রুট ও বেন স্টোকস দ্রুত ফিরে গেলে উত্তেজনা ছড়ায় গ্যালারিতে। তবে শেষ পর্যন্ত হ্যারি ব্রুকের শান্ত ইনিংস ও কিছু অতিরিক্ত রানে ভর করে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
এই ম্যাচে দুই দলের কেউই হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি—অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৩২ সালের পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে ইংল্যান্ডের পেসার জশ টাংয়ের হাতে। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
এই জয়ের মাধ্যমে একদিকে যেমন অস্ট্রেলিয়ায় টেস্টে টানা ব্যর্থতার ধারা ভাঙল ইংল্যান্ড, অন্যদিকে এই অ্যাশেজ সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো মাত্র দুই দিনে শেষ হলো একটি টেস্ট। ইতিহাস, নাটক আর বিতর্ক—সব মিলিয়ে এমসিজির এই টেস্ট অ্যাশেজ ইতিহাসে জায়গা করে নিল বিশেষ অধ্যায় হয়ে।
মন্তব্য করুন