সংবাদ প্রকাশের জেরে জামালপুরের বকশীগঞ্জে গত বুধবার সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
শুক্রবার (১৬ জুন) সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় একের পর এক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকা লক্ষ করা যাচ্ছে। সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ঔদ্ধত্য ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন বন্ধ করা উচিত।
নেতৃদ্বয় বলেন, ক্ষমতাশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার জেরে সাংবাদিকদের ওপর অবারিতভাবে চলমান হামলা, মামলা, নির্যাতন ও হত্যা বাংলাদেশে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটিয়ে ক্ষমতার আনুকূল্যে বিচারহীনতা ভোগ করাও স্বাভাবিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে দেশের মানুষের জান-মালের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাদের হাত থেকে নারী-পুরুষসহ গণমাধ্যম কর্মীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। মানুষের জীবন এখন চরম নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করলে অথবা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করলেই নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ।
তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ৫৭ জন সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের শিকার এবং অসংখ্য সাংবাদিক মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। এক যুগেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। এ ছাড়াও অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটত না। আসলে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কবলে পুরো দেশটাই এখন দুর্বিষহ কারাগারে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষ এখন একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনে বন্দি। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক নাদিমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ইউট্যাবের নেতৃদ্বয়।
মন্তব্য করুন