বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্রের বিপরীতে ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ বা রেন্টাল পেমেন্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী অনুযায়ী, ৮২টি আইপিপি (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউচার) বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৭০টিকে ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান করতে হয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত (৩০ জুন ২০২৩) ৭৬ হাজার ২৪২ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লি.। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গত সাড়ে ১৪ বছরে সাত হাজার ৪৫৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ পরিমাণ চার্জপ্রাপ্ত অন্যান্য আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে- মেঘনা পাওয়ার লিমিটেডকে ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে চার হাজার ৪ কোটি ৮ লাখ, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডকে তিন হাজার ৬৪৪ কোটি ৩৯ লাখ, সেমক্রপ এনডব্লিউপিসি লিমিটেডকে দুই হাজার ৮২৩ কোটি ৬৬ লাখ, এপিআর এনার্জিকে দুই হাজার ৭৮৮ কোটি ৪ লাখ, সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে দুই হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ, হরিপুর পাওয়ার লিমিটেডকে দুই হাজার ৫৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডকে দুই হাজার ৩৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ও বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ লিমিটেডকে এক হাজর ৮৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।
গত তিন মেয়াদে ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট) গুলোতে ভাড়া বাবদ প্রদান করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস তার ৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ছয় হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা পেয়েছে। এাছাড়া অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টস (১৪৫ মে.ও) দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ, কেপিসিএলকে (ইউনিট-২) এক হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সামিট নারায়ণঞ্জ পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৮৫ মে.ও) লিমিটেডকে এক হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ডাচবাংলা পাওয়ার এন্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডকে এক হাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, অ্যাক্রন ইনফ্রাস্টাকচার সার্ভিসেস লিমিডেটকে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৯৫ মে.ও) লিমিটেডকে এক হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, দেশ এনার্জি সিদ্দিরগঞ্জ এক হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ, ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরাণীগঞ্জ ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন