বাসস
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শেখ রেহানার চিঠি, যা কখনো পৌঁছায়নি বঙ্গবন্ধু ও রাসেলের হাতে

শেখ রেহানা। ছবি : সংগৃহীত
শেখ রেহানা। ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানি পৌঁছার পর ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বাবা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পেয়ে যান, কারণ তারা তখন জার্মানিতে ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০২১ সালে তার জন্মদিন উপলক্ষে দলটির যাচাইকৃত ফেসবুক পেজে সাক্ষাৎকারটি শেয়ার করেছিল, যেখানে তিনি তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর থেকে যে শোক ও দুঃখ লালন করছিলেন তা প্রকাশ করেছেন।

শেখ রেহানা ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট সাপ্তাহিক চিত্র বাংলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাৎকারে বেদনাদায়ক এ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।

চিঠিতে রেহানা তারা কীভাবে ভ্রমণ করছেন এবং কীভাবে সেখানে তাদের দিন কাটছে সেসব বর্ণনা করেছেন।

কিন্তু যাদের উদ্দেশে চিঠিটি লেখা হয়েছিল তাঁরা এ চিঠি কোনদিনও দেখতে পাননি। কারণ, চিঠিটি পৌঁছানোর আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর প্রায় পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

শেখ রেহানার ১০ বছর বয়সী ভাই শেখ রাসেল সাধারণত ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রাম নিতে চাইতো না।

তাই রেহানা তার চিঠিতে ভাইকে তার স্বাস্থ্যের যতœ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং জার্মানির প্রকৃতি কতটা মনোরম ও সুন্দর তা বর্ণনা করেছিলেন। তিনি চিঠির সাথে কয়েকটি কার্ডও সংযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু চিঠিটি কখনই তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়নি।

এমনকি হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি কালো আইন জারি করায় দেশের রাজনৈতিক গতিপথকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়া এবং রাষ্ট্রকে পাকিস্তানি আদর্শের দিকে ঠেলে দেওয়ায় নৃশংস হত্যাকা-ের বিচারও তারা চাইতে পারেনি।

ওই সাক্ষাতকারে রেহানা বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ১৫ আগস্ট ওরা আমার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার বাবা, মা, আমার ভাইদের হারিয়েছি। আমি কীসের জন্য বাঁচব? রাসেলের কী দোষ ছিল? সে তো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। আমার মাও ছিলেন না। কেন তারা তাদের মেরে ফেললো? আমি এতিম। আমি অসহায়। একজন কন্যা হিসেবে, একজন বাঙালি হিসেবে, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই।’

রেহানা আরও বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ফুলের নিচের সাপের মতো স্থানীয় দালালরাও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দেশের নেতাদের মধ্যে যে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল, তা আশানুরূপ ভাবে হয়নি।’

যে খুনিরা গর্বিতভাবে তাদের কাজ শেষের ঘোষণা করেছিল তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে ইতিহাসের গৌরবজনক অধ্যায়ে নেমে এসেছিল সকরুণ নিস্তব্ধতা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন, নতুন ঘর দিচ্ছেন তারেক রহমান

অতিরিক্ত সিম নিয়ে বিটিআরসির জরুরি বার্তা

‘শেখ হাসিনার করুণ পরিণতির বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের’

অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

প্রাথমিকে গানের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

অনলাইন ও এসএমএসে এইচএসসির ফল জানবেন যেভাবে

খেলা চলাকালে মাঠেই প্রাণ হারালেন বাঁহাতি পেসার

গণহত্যায় জড়িতদের বিচার দৃশ্যমান না হলে নির্বাচন পেছাতে পারে : সারজিস

হাদিসের ভাষায় ভালো মৃত্যুর ১৫ আলামত

বিতর্কিতরাই পিআরের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে : আমান

১০

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১১

সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে ‌‘কারাগার ঘোষণা’

১২

ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ

১৩

খেলাফত মজলিসের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৪

মাত্র ১৪ বছরে সহঅধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন বৈভব

১৫

যারা শিবিরের বিরোধিতা করেছিল, তারা আজ ইতিহাস : জাহিদুল ইসলাম

১৬

পিআর পদ্ধতিতে ভোটে জনগণের ক্ষমতা খর্ব হবে : ফখরুল

১৭

তিনজনে এক নারী স্বামীর দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার : বিবিএস

১৮

ভারতের অধিনায়ক শান মাসুদ, হঠাৎ এমনটা কেন বললেন ধারাভাষ্যকার

১৯

গুঁড়া দুধ দিয়ে সহজ রসগোল্লা

২০
X