১৬টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ‘ই-কমার্স এক্সপো-২০২৩’ এ অংশ নিয়েছে দেশীয় বিপিও শিল্পের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)। বাক্কো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে এবং লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় এই এক্সপো’তে অংশ নেয় বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ‘এক্সেল লন্ডন’ এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়।
এক্সপোতে দেশের সম্ভাবনাময় বিপিও খাতকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া প্রদর্শনী ছাড়া বাক্কো ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ‘বিপিও ব্রিলিয়্যান্স ইন বাংলাদেশঃ পেইভিং দ্য ওয়ে ফর গ্লোবাল এক্সিলেন্স’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম। বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে অংশ নেন সিনিয়র উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আহমাদুল হক, সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন ও পরিচালক কাওসার আহমেদ। এ আলোচনায় বাংলাদেশের বিপিও খাতের অমিত সম্ভাবনার প্রতি আলোকপাত করা হয়।
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ ঘোষণা দিয়েছেন। শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করাই এই পরিকল্পনার মুখ্য উদ্দেশ্য। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য ও পরিসেবা রপ্তানি বৃদ্ধি ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বাক্কোর লক্ষ্যমাত্রা বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) শিল্পে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করা। সে লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে বাক্কো। আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের সফলতা এবং সক্ষমতার গল্প তুলে ধরাতে ভবিষ্যতেও কাজ করবে বাক্কো। ই-কমার্স এক্সপো ২০২৩’ মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাক্কো জানায়, প্রদর্শনী চলাকালে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থী বাংলাদেশের স্টলে তাদের জিজ্ঞাসা, প্রশ্ন নিয়ে ভিড় জমান। এভাবেই আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সংযোগ তৈরির এক তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয় প্রদর্শনীস্থল। পাশাপাশি, লন্ডনে বসবাসকারী বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীও প্রদর্শনী পরিদর্শনে আসে। উক্ত প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ যুক্তরাজ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও সংযোগ তৈরির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে বলে বিশ্বাস করে বাক্কো।
মন্তব্য করুন