‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষে' গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী শিল্পযজ্ঞ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, 'অনুষ্ঠানের সভাপতি ‘কিং অব দ্য আর্ট’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সংস্কৃতিজন, নাট্যজন 'শিল্পের রাজা' তিনি। শিল্পের সব শাখার উৎকর্ষ সাধনে তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, সব ক্ষেত্রে তার বিচরণ! সেই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে সভাপতিত্ব করছেন। আমাদের মাঝে সচিবসহ শিল্পকলা একাডেমির পাঁচজন পরিচালক আছেন। পালাগান, আমরা গ্রামে যেটা দেখতাম- এক পক্ষ বলল আরেক পক্ষ উত্তর দিল। এ রকম দারুণ জমে ওঠে, সারারাত চলে। দুই পক্ষ হয়ে যায় গ্রামে। কে জিতল কে হারল সারারাত চলে এটা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, বিচারকের রায়ে দুই পক্ষই ভালো করেছে। আমিও চাইব যে, এখানে এই আনন্দময় উৎসবের মধ্য দিয়ে যে উৎসবটি করতে চাচ্ছেন সেখানে যেন আমরা সফল হই।’
পালাগান উৎসবের আজ চতুর্থ দিন। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সর্বসাধারণকে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশব্যাপী ১৪০টি পালাগানের দলের পরিবেশনায় ৬৪ জেলায় ১-১২ অক্টোবর পর্যন্ত 'গণজাগরণের পালাগান উৎসব ২০২৩ আয়োজন করেছে। এর মধ্যে ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১-৫ অক্টোবর চলবে এ আয়োজন। আজকের আসর বসেছে একাডেমির সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ঐতিহ্য, চিন্তা, মূল্যবোধকে ধারণ করেই পালাগানের বিস্তার। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে পালাগান বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পণ স্বরূপ কাজ করে পালাগান। উৎসবের প্রথম দিন পালাগানে অংশগ্রহণ করেন আরিফ দেওয়ান ও লিপি সরকারের দল, তারা পরিবেশন করে গুরু-শিষ্য।
মন্তব্য করুন