কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধারাবাহিকভাবে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে : সাখাওয়াত হোসেন

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)। ছবি : সংগৃহীত
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)। ছবি : সংগৃহীত

ধারাবাহিকভাবে আরও নিষেধাজ্ঞা আসছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে বছরখানেক আগে থেকে। ডেমোক্রেটিক সামিটে আমন্ত্রণ না জানানো, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নির্দিষ্ট কিছু জায়গা তারা ধরিয়ে দিয়েছিল, এখানে এখানে আপনাদের সমস্যা আছে। আপনারা এগুলো খেয়াল করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেই ওয়ার্নিং বুঝি নাই বা আমরা চেষ্টাও করিনি বোঝার। পরে তারা যখন দেখেছে বাংলাদেশ এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না তখন তারা নিষেধাজ্ঞার বিষয়েই এগিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের চার্টার্ডে সজ্ঞানে স্বাক্ষর করেছি। সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কিন্তু মানবিক অধিকার। সেখানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অনেক বড় একটি বিষয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবদলই অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু ফলাফল কী হলো? কিন্তু এটি সম্পূর্ণ একটি ম্যানুপুলেটেড নির্বাচন হলো।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান দায়ী থাকে না কোনো কাজে। দায়ী থাকে সেখানে কাজ করা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি। যেমন আমরা বলছি যে বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে তবে বিষয়টি হলো পুরো বিচার বিভাগ নয়, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসছে। পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা মানে সব পুলিশের ওপর না। পুলিশে কর্মরত কিছু ব্যক্তির ওপর।

মিডিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা লাইভে দেখি যে অনেক জায়গায় ভোটার নেই। কিন্তু হুট করে অনেক লোক চলে আসে। তখন আমরা বলি, সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি যখন প্রশিক্ষণ দিই তখন সাংবাদিকরা বলেন, আমরা সবকিছুই অফিসেই জমা দিই। কিন্তু পরে সেটি আর দেখি না। এসব কাজে যারা জড়িত সেসব ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। গণমাধ্যম মানে পুরো গণমাধ্যমের ওপর না। এখানে কর্মরত কিছু ব্যক্তির ওপর। আমার ধারণা নিষেধাজ্ঞা কখনো পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর আসবে না। এটা আসবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ওপর।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় শেষ নয়। আমার মনে হয় এটা মাত্র শুরু। আমাদের অনেক আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সতর্ক হইনি এখনো। ফলে এমন নিষেধাজ্ঞা আসা শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে তিন সপ্তাহ ছিল। তারা সবার সাথে কথা বলেছে। বড় বড় সব রাজনৈতিক দলের সাথে তারা কথা বলেছে। তারা নির্বাচন কমিশনের সাথেও কথা বলেছে। নিজেরাও পর্যবেক্ষণ করেছে। সবশেষে তারা বলেছে এখনো বাংলাদেশে নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়নি।

শেষে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাইলে পুরো বছর সেটির ওপর কাজ করতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে পুরোনো মামলা দেখিয়ে যাকে তাকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। অর্থাৎ শুরু থেকেই জনগণের ওপর কতৃত্ব শুরু হয়েছে। ভিসা পাওয়া আর না দেওয়ার মাঝে তফাৎ আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা সংশোধন

কর্মবিরতিতে ভেঙে পড়েছে টিকাদান কর্মসূচি

আ.লীগ নেতাকে ছিনতাই, ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীতে মা-ছেলেসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

নীতি-আদর্শের পরিবর্তন করতে পারলেই শান্তি আসবে : ফয়জুল করীম

সেভিয়ার মাঠে বিধ্বস্ত বার্সা

আন্তঃশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন কাঞ্চন একাডেমি

একই দিনে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু

বিএনপিতে যোগ দিলেন ৫ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী

মায়ের মৃত্যুর শোক শেষ না হতেই ডেঙ্গুতে ছেলের মৃত্যু

১০

রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ ১৭ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা

১১

শিক্ষক দিবসে ক্যানসারে নিভল ‘জালাল স্যারের’ প্রাণ

১২

জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে ইসরায়েলকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বার্তা

১৩

সুপ্রিম কোর্টে ভোট ডাকাতি : আবু সাইদ সাগর কারাগারে 

১৪

শেষ ম্যাচে আফগানদের ১৪৩ রানে থামাল বাংলাদেশ

১৫

ইসলামকে যথাযথভাবে ও পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে : জামায়াত আমির

১৬

মুলা-বেগুন মার্কা নির্বাচন কমিশনের রুচিবোধের প্রকাশ : সারজিস

১৭

রাষ্ট্রের উন্নয়নে ধানের শীষকে জয়যুক্ত করতে হবে : শিমুল বিশ্বাস 

১৮

নির্বাচনের দিন গণভোট চায় বিএনপি-এনসিপি, জামায়াত চায় আগে

১৯

সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত

২০
X