বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে আমূল পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক উন্নয়নেও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বর্তমানে সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সেখানে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তা ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদদীন আহমদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধু একে অপরের পরিপূরক। স্বাধীনতার পর মাত্র ৩ বছরে বঙ্গবন্ধুর একান্ত প্রচেষ্টায় জিডিপির দিক দিয়ে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বাংলাদেশকে দুর্বার গতিতে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রগতিশীলরা ক্ষমতায় থাকলে দেশে সব ধরনের উন্নয়ন হয় এটাই প্রমাণ করলেন শেখ হাসিনা। যাদের রাজনীতিতে পরমতসহিষ্ণুতা নেই তাদের রাজনীতি কখনো প্রগতিশীল হতে পারে না এবং তারা দেশ, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের জন্য কখনোই শুভকর হতে পারে না।
ইআরডিএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী বঙ্গবন্ধু এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জনগণের ভোটে ও সমর্থনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত অদম্য বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রূপকার শেখ হাসিনার এই অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে আগুনসন্ত্রাস করে রুদ্ধ করা যাবে না। বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষের ভোটে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করার মাধ্যমে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অদম্য এই বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতায় আসেন তখন বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৯৯ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে বাজেটের আকার প্রায় ৭৬২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব হ্রাস এবং এইচডিআই সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। শেখ হাসিনার মতো এমন দূরদর্শী নেতা না থাকলে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হতো না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে সরকারের সমালোচনাকারীরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা সত্যি অকল্পনীয়। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকারের একান্ত প্রচেষ্টার ফসল বাংলাদেশের এই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন