শুরু হয়েছে গণজাগরণের ঐতিহ্যবাহী নাট্য উৎসব-২০২৩। এবার লোকসংস্কৃতির বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী নাট্য উৎসব সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) পরিবেশনা আঙ্গিক ‘পালাটিয়া : আপেল মাতাজির পূর্ণা কুটুম’ পরিবেশন করেন দিনাজপুরের শিল্পী প্রতিভা পালাটিয়া। ‘শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাব আমরা উন্নতির শিখরে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলসহ জেলাসমূহে গণজাগরণের ঐতিহ্যবাহী নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে নাটোর মুক্তমঞ্চ ধুপইলে পরিবেশন করেন পালাদল- মাদার পীরের দল ‘হাঁট কারে বাদশা বিবি কুসুম’। রাজশাহী বাঘা উপজেলার দিঘা হাইস্কুল মাঠে মাথল গম্ভীরা দল পরিবেশন করে পালা ‘হারগে রাজশাহী’। কুষ্টিয়া ধরমপুর ইউ.পি/বাহিরচর ইউ.পিতে হিসনা লোকনাট্য দল পরিবশন করে ‘পদ্মার নাচন’। নীলফামারী জেলার সপ্তসুর পরিবেশন করে ‘উন্নয়নের গান’। ঠাকুরগাঁও জেলার ডা. শচীন্দ্রনাথ রায় লোকনাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করে ‘নতুন রুপে বাংলাদেশ (ধামের গান)’। শেরপুর জেলার বাংলাদেশ কোচ সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র পরিবেশন করে ‘বিহু’। ঝালকাঠি জেলার শ্রী শ্রী মা মনসা সম্প্রদায় পরিবেশন করে ‘অধিবাস পালা’ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে কুমিল্লার আলমগীর সরকারের দল পরিবেশন করে ‘জারিগান ও কবিগান’।
মন্তব্য করুন