দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩৬ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত এই মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
প্রায় এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তিনি। ক্রিকেটের সুখ-দুঃখে সবসময়ই পাশে দেখা গেছে তাকে।
তবে একই সঙ্গে পাপন ছিলেন আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে। রাজনীতির মাঠেও পরিচিত মুখ তিনি।
এবার নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, আওয়ামী লীগের এমপি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের অন্যতম নীতিনির্ধারক। কিন্তু কোন পরিচয়ে তিনি পরিচিত হবেন? এসব পরিচয় ছাপিয়ে পাপনের সবথেকে বড় পরিচয় হলো তিনি প্রয়াত জিল্লুর রহমান এবং আইভি রহমানের সন্তান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা আসলেই আমাদের দৃশ্যপটে যে ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ভেসে ওঠে তার মধ্যে রয়েছে আইভি রহমানের রক্তাক্ত নিথর দেহটি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তার পায়ে গ্রেনেড লেগেছিল। এরপর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চার দিন থাকার পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কিন্তু আইভি রহমানের চেয়েও রাজনীতিতে আলোকিত ছিলেন জিল্লুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত, ঘনিষ্ঠ অনুচর এবং ’৭৫ পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যারা শেখ হাসিনার পক্ষে নিরঙ্কুশভাবে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন, যাদের আদর্শিক কোনো বিচ্যুতি ছিল না তাদের মধ্যে জিল্লুর রহমান অন্যতম। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনে তিনি নীতি এবং আদর্শের এক কঠিন পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হন। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তিনি প্রাজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দেন।
রাজনীতিবিদের চেয়ে পাপন বিসিবি সভাপতি হিসেবে বেশি আলোচিত এবং পরিচিত। তিনি বিসিবি সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে তার সুনাম-দুর্নাম দুই রয়েছে। আবার কর্পোরেট যুগে ক্রিকেটের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছেন এবং বিসিবিকে একটি ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাইয়ে দিয়েছেন। নতুন নতুন ক্রিকেটার তৈরি এবং ক্রিকেটের ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় বিসিবিকে টিকিয়ে রাখতে তার নেতৃত্ব প্রশংসিত। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের একটি পারিবারিক বন্ধনে রাখার ক্ষেত্রেও পাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মন্তব্য করুন