সারাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে সহিংসতার প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করায় এবং ৫ম বারের মত প্রধানমন্ত্রী‘র দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়।
মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ, বাগেরহাট, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, কুমিল্লার দাউদকান্দি, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। অনেক স্থানে কিছু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখনো কোন কোন স্থানে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলেও তা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, নির্বাচনে ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্ধে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি ধর্মের ব্যবহার বন্ধ হয়নি। যার পরিণতিতে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু‘র বাংলাদেশে এ অবস্থা চলতে পারে না। আজ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ডাকে সারাদেশে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক বাসুদেব ধর। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, নিমচন্দ্র ভৌমিক, জয়ন্ত সেন দীপু, মিলন কান্তি দত্ত, মনীন্দ্র কুমার নাথ, তাপস কুমার পাল, পূরবী মজুমদার, রমেন মণ্ডল, শ্যামল রায়, কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, বিপ্লব দে, ব্রজ গোপাল দেবনাথ, প্রাণোতোষ আচার্য্য শিবু, তাপস কুঠু, গোপাল সরকার, কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী পিন্টু, দিপালী চক্রবর্তী, বিনয় ঘোষ বিটু, শ্যামলী মুখার্জী, গিরিধারী সাহ্য, পরিমল ভৌমিক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন