কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ পিএম
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত রুশ রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পতাকা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেছেন, রাশিয়ায় শেখানো হয় এমন অন্যান্য এশীয় ভাষার মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে বাংলা। দক্ষিণ এশিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুকদের আকর্ষণ করে এ ভাষা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস বাংলাভাষী কূটনীতিকদের নিয়ে গর্বিত।

আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি বলেন, তাদের দক্ষতা কূটনৈতিক মিশনের দৈনন্দিন কার্যক্রমেই অপরিহার্য নয়, বরং বিভিন্ন প্রটোকল অনুষ্ঠানেও তাদের বেশি প্রয়োজন হয়।

মানতিৎস্কি আরও বলেন, এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণটি মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর রিয়েল-টাইম মোডে বাংলায় অনুবাদ করা। তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বার্তায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১০ ফেব্রুয়ারি পেশাদার ছুটি উদযাপনের এই দিনে রুশ কূটনীতিকদের কাজকে অর্থবহ ও আনন্দময় করার জন্য বাংলাদেশের অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুপ্রতীম জনগণকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।’

১০ ফেব্রুয়ারি কূটনৈতিক কর্মী দিবস- একটি পেশাদার ছুটির দিন। এদিন মস্কো এবং বিদেশে অনেক মিশনে কর্মরত সব কর্মচারীকে একত্র করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যদিও ছুটির দিনটি ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পালন শুরু করলেও তারিখের পছন্দটি বিরাট ঐতিহাসিক তাৎপর্য বহন করে। কারণ এটি ১৫৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা প্রথম রাষ্ট্রদূত প্রিকাজের প্রাচীনতম নথিভুক্ত করাকে তুলে ধরে।

রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেছেন, এই ছুটির দিনটি রাশিয়ার কূটনৈতিক পরিষেবার ধারাবাহিকতার প্রতীক। এর পেশাদার ঐক্য এবং মহৎ পথনির্দেশক নীতি ও আদর্শ প্রদর্শন করে।

তিনি আরও বলেন, শত শত বছরের ইতিহাসজুড়ে রুশ কূটনীতিকরা যেসব দেশে সেবা প্রদান করেন, সেসব দেশের ভাষা শেখার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

মানতিৎস্কি বলেন, জাতীয় ঐতিহ্য এবং অভ্যাস, আকাঙ্ক্ষা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতি বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা সর্বদা রাশিয়ান কূটনৈতিক পরিষেবার ঘোষিত মৌলিক মূল্যবোধ।

সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাশিয়ার সম্রাট পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এশীয় দেশগুলো রাশিয়ার সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

বাণিজ্য ও রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য স্বাভাবিকভাবেই ভাষাগত এবং যোগাযোগ দক্ষতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন ছিল।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই প্রয়োজনীয়তা রাশিয়ায় প্রাসঙ্গিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত করে।’

মানতিৎস্কি বলেন, আজ প্রাচ্য গবেষণায় গভীর শিক্ষা প্রদান করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোর ইনস্টিটিউট এবং মস্কোর এমজিআইএমও বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট-পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির ওরিয়েন্টাল অনুষদ, ভ্লাদিভোস্টকের ফার ইস্টার্ন ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা ট্রাম্পের

ঢাকায় কখন হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি আজ

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার জয়

গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরে যাচ্ছেন ট্রাম্প

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও লেকর্নুকে নিয়োগ দিলেন মাখোঁ

চীন বিশ্বকে জিম্মি করে রেখেছে : ট্রাম্প

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের যত খেলা

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

যুক্তরাজ্যে তিন মাসে ২২টি মসজিদে হামলা, কারণ কী?

১০

দেশে ফিরে যা বললেন শহিদুল আলম

১১

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১২

১১ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৩

যারা মন্দিরে হামলা করত তারা দেশে নেই : এটিএম আজহার

১৪

চট্টগ্রামে ‘সমুদ্র পরিবেশ রক্ষা ব্যালাস্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক প্রযুক্তিগত সেমিনার

১৫

‘দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না’

১৬

নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১৭

মেঘনার তীরে দেখা মিলল রাসেল ভাইপারের, অতঃপর...

১৮

স্বামীর ছুরিকাঘাতে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রী নিহত

১৯

বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সাভারে ব্যাপক গণসংযোগ

২০
X