কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঢাকায় বায়ুদূষণের কারণ জানালেন মেয়র তাপস

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : সংগৃহীত
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বাংলাদেশে যে জীবাশ্ম জ্বালানি আমরা ব্যবহার করি সেটি অত্যন্ত নিম্ন মানের এবং আমাদের দেশে বায়ুদূষণের মূল কারণই হলো নিকৃষ্ট মানের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। ঢাকা শহরে যে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেটিতে সালফারের যে মাত্রা তা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডি ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬-তলা নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আমরা দেখেছি, ইউরোপের জীবাশ্ম জ্বালানিতে সালফারের পরিমাণ থাকে ১৫ পিপিএম এর নিচে। সেখানে আমাদের দেশে তা ৫০ পিপিএম ঊর্ধ্বে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা ৫০০ পিপিএম ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সেগুলো অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। সে লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা পেট্রোলিয়াম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমরা চিঠি দিব। তারা যেন এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়।

মেয়র বলেন, 'আমরা চাই না, ঢাকা শহরে এ ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি আর ব্যবহৃত হোক। আমরা চাই, ঢাকা শহরে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানিতে সালফারের পরিমাণ ৫০ পিপিএম এর নিচে থাকবে। তাহলেই বায়ুদূষণের মূল যে কারণ তা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব। আমাদের নতুন প্রজন্ম স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে।

ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রেখেছে উল্লেখ করে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য সূচি অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রথমত, আমরা নিয়মিতভাবে মূল সড়কগুলোতে সকাল থেকে পানি দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমাদের যে উড়াল সেতু আছে সেগুলো আমরা সাকার যন্ত্র দিয়ে পুরোটা পরিষ্কার করছি। তারপরেও আমরা লক্ষ্য করি, নির্মাণাধীন ভবনসহ নানাবিধ সংস্কার কাজের ফলে ধুলোবালি উৎপন্ন হচ্ছে। আমরা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছি যেন ভবন নির্মাণকালে অবশ্যই বেষ্টনী দিয়ে সেগুলোকে ঢেকে রাখা হয়। যাতে করে ধুলোবালি বাইরে না আসে।

আমাদের সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণের কারণে যে ধুলো উৎপন্ন হয়, সেখানে যে মাটি অপসারণ করা হয় সেগুলো যেন দীর্ঘদিন পড়ে না থাকে সে লক্ষ্যে আমরা ঠিকাদারদের নির্দেশনা দিয়েছি। ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গোয়ালন্দে ওসির পর এবার ইউএনও বদলি

ব্যারিস্টার হতে চান নুসরাত ফারিয়া

নেপালের প্রথম নারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন সবিতা ভাণ্ডারি 

দেশে কত দামে স্বর্ণ ও রুপা বিক্রি হচ্ছে

ম্রুণাল ঠাকুরের আবেগঘন বার্তা 

হাত মেলাতে এসেছিল পাকিস্তান দল, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করেন বুমরাহরা

ভারতের কাছে পাত্তা না পাওয়া পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন শোয়েব আখতার

ভূমি মন্ত্রণালয়ে চাকরি

ভারতীয়কে গলা কেটে হত্যা, অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের 

খুলনায় হোটেল কক্ষে মিলল যুবকের মরদেহ

১০

কুড়াল দিয়ে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১১

জরাজীর্ণ এই দোকানে ৪ পুরুষের ‘বরিশাল দধি ঘর’

১২

ইনজুরিতে সাকিব, করাতে হবে অস্ত্রোপচার

১৩

১৫ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৪

যে কারণে শোকজ করা হয় সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলমকে

১৫

ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘অশোভন আচরণে’ ক্ষুব্ধ হয়ে যা বলল পাকিস্তান

১৬

চিকিৎসার জন্য দেশে আসা প্রবাসীর প্রাণ গেল ট্রাকচাপায়

১৭

সীমান্ত এলাকায় জ্ঞানের দ্যুতি ছড়াচ্ছে ‘অক্সিজেন’

১৮

টিভিতে আজকের যত খেলা

১৯

দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের অনুদান দেবে সরকার, আবেদন যেভাবে 

২০
X