রেড ক্রিসেন্টের জাতীয় সদর দপ্তর ও ১০টি ইউনিটসহ মোট ১১টি ইউনিট অলিম্পিয়াডে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে। সেখান থেকে সেরা হয়েছে ৩টি ইউনিট। পরিবেশ বাঁচাতে সৃজনশীল সমাধান খুঁজে বের করায় চ্যাম্পিয়ন হয় নারায়ণগঞ্জ ইউনিট। প্রথম রানার্সআপ হয় জাতীয় সদর দপ্তর দল ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয় দিনাজপুর ইউনিট।
বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) আয়োজনে প্রথমবারের মতো দেশে অনুষ্ঠিত হলো গ্রিন রেসপন্স অলিম্পিয়াড ২০২৪।
প্রধান অতিথি হিসেবে অলিম্পিয়াডের চূড়ান্ত পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল এবং কোষাধক্ষ্য এম এ ছালাম। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশনবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শহিদুল ইসলাম, আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফাতেমা আক্তার এবং আইইউসিএন’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে ও পরিচালক ইমাম জাফর সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মুন্সি কামরুজ্জামান কাজল, অ্যাড. সোহানা তাহমিনা, অ্যাড. মো. মাহবুবার রহমান তালুকদার, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, আইএফআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা, জার্মান রেড ক্রসের এক্টিং কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আনা মেরিকুইনা, গ্রিন রেসপন্স ফোকাল মো. শাহজাহান সাজু, সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দায়িত্ব পরিবেশের ক্ষতি রোধ করা। আমি আশাবাদী, এই অলিম্পিয়াড থেকে এমন কিছু সৃজনশীল এবং কার্যকরী সমাধান বেরিয়ে আসবে যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করবে।
মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী পরিবেশের ক্ষতি রোধ করতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট আরও সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন